এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ৪০ বিধায়ক যোগে মোদীর প্রার্থীপদ বাতিল হলে দল ভাঙানোয় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত, দাবি বিজেপির

৪০ বিধায়ক যোগে মোদীর প্রার্থীপদ বাতিল হলে দল ভাঙানোয় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত, দাবি বিজেপির

প্রিয় বন্ধু বাংলা এক্সক্লুসিভ – বাংলায় ক্রমশ জমে উঠছে ভোটযুদ্ধ – আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাকযুদ্ধ। চতুর্থ দফার নির্বাচন সবে শেষ হয়েছে, এখনো বাকি তিন দফার ভোটগ্রহণ। আর এই সময়ে এই বাকযুদ্ধ যে ক্রমশ আরও বাড়বে – তার ইঙ্গিত স্পষ্ট করছে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি – উভয়েই। গত ২৯ শে এপ্রিল নিজেদের দলীয় প্রার্থীর প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রেখে চলছেন। আগামী ২৩ শে মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলেই নাকি এই বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেবেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, গতকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে হর্স ট্রেডিংয়ে নেমেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, একজনকে জোগাড় করো। তোমাদের পার্টির মতো আমাদের পার্টি চোর নয়। আমাদের একজন গেলে এক লক্ষ জনকে তৈরি করব। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে এইভাবে কেনাবেচার কথা বলছেন? তিনি একটি কেন্দ্রের প্রার্থী। এই কথা বলার জন্য অবিলম্বে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে সোমবারই তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তৃণমূল নেত্রীর এহেন পদক্ষেপ ও বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, বাংলায় ‘হর্স ট্রেডিং’ শুরুটা করেছে কে? বিভিন্ন দলের একের পর এক বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে আসেন কে? মজার কথা এইসব বিধায়করা আবার, বিধানসভার শুনানির সময় বলতে ‘ভয় পান’ যে তাঁরা দলবদল করেছেন, যাতে বিধায়ক পদ চলে যায় আর তাঁরা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। অথচ, এই বিধায়করাই বাইরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন। বিধানসভার স্পিকারও এই দলবদলের কথা ‘বুঝতে পারেননা’, ফলে এঁদের বিধায়ক পদ থেকে যায়! আর শুধু বিধায়ক? তৃণমূল কংগ্রেস তো গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে কাউন্সিলর – কোথাওই আর ‘হর্স ট্রেডিং’ বাকি রাখে নি!

আর এরপরেই গেরুয়া শিবিরের আরও দাবি, ৪০ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যদি তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের জন্য ছোটে ঘাসফুল শিবির – তাহলে তার আগে, বাংলার সর্বস্তরে ‘হর্স ট্রেডিং’ করার নৈতিক দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ করা উচিত স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের বিস্ফোরক দাবি, আসলে চার দফার নির্বাচনের পরেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট। কেন্দ্রে যেমন এনডিএ সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটছে, তেমনই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাপতন ঘটতে চলেছে। ফলে, আগামী ২৩ শে মের পরে তৃণমূলে যে কি ভাঙন হবে কেউ কল্পনাও করতে পারছে না!

গেরুয়া শিবিরের এক তরুণ দাপুটে নেতার বক্তব্য, মুকুল রায় দল ছাড়ার পর তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল – যে আর একজন নেতাও নাকি তৃণমূল ছাড়বেন না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, একে একে সৌমিত্র খাঁ, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অনুপম হাজরা, অর্জুন সিংয়ের মত হেভিওয়েটরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। আর এঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এঁদের ‘আবর্জনা’ বলে বহিষ্কারের ‘নাটক’ করেছে তৃণমূল। যা সাধারণ মানুষের কাছে যথেষ্ট হাস্যকর লাগার পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসে যে বড়সড় ভাঙন হতে পারে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আর তাই, প্রধানমন্ত্রী ৪০ জন বিধায়কের কথা বলার পর, তৃণমূল পুরোপুরি ব্যাকফুটে। ফলে, নিজেরা যে দোষে সব থেকে বেশি দুষ্ট, সেই দোষ অন্যদের মধ্যে খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করছে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!