এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও সাহায্য সপাটে প্রত্যাখ্যান মৃত রাজবংশীর পরিবারের

মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও সাহায্য সপাটে প্রত্যাখ্যান মৃত রাজবংশীর পরিবারের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ হারান ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মণ। তাঁর পরিবার ও বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। আবার, সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান চারজন মানুষ।

এরপর আজ সেখানে যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও সাহায্য সপাটে প্রত্যাখ্যান করলেন আনন্দ বর্মণের পরিবার। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তাঁদের কিছুই পাওয়ার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান না তাঁরা।

মৃত আনন্দ বর্মণের দাদা গোবিন্দ বর্মণ স্পষ্ট জানালেন যে, তাঁরা বিজেপি করেন। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এখন তাদের কি দিতে এসেছেন? গোবিন্দ বর্মণ আরো জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন দেখা করবেন? তিনি অথবা তাঁর দলের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি জানালেন, তাঁর ভাইকে নিয়ে ফিরে আসার পথে বোমা মারা হয়েছিল। বোমা লেগে তিনি পড়ে যান। তারপর বাঁশ দিয়ে মারা হয় তাঁকে। কোন রকমে ভাইকে নিয়ে পাশে তাঁর কাকুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আনন্দ বর্মণের বাবা জগদীশ বর্মন জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন না তিনি। দু তিন জন তাঁদেরকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু তাদের তিনি পরিষ্কার না করে দিয়েছেন। তাদের অর্থসাহায্য দেবার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, টাকা চান না তাঁরা। তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কিছুই নেবেন না তিনি, তৃণমূল সরকারের কাছ থেকেও তিনি কিছু নেবেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বড় ছেলেকে অনেকবার হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাঁদের বাড়িতে এসেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভোট দিতে গেলে তাদের জীবন কেড়ে নেয়া হবে। তিনি জানালেন, তাঁর বড় ছেলেকে হাতের সামনে না পেয়ে, তাঁর ছোট ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, আনন্দ বর্মণের পরিবার যেভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও সাহায্যকে, তাতে যথেষ্ট মুখ পুড়লো শাসকদল তৃণমূলের। যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনেও। ইতিপূর্বে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন যে, শীতলকুচির ঘটনায় চারজনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আনন্দ বর্মণের মৃত্যু নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেন নি। কারণ, আনন্দ বর্মণ রাজবংশী সম্প্রদায়ের যুবক। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাংক নন।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!