এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলনেত্রীর ব্রিগেড ভরাতে নয়া নিদান শাসকদলের, নাজেহাল অবস্থা নেতা কর্মীদের

দলনেত্রীর ব্রিগেড ভরাতে নয়া নিদান শাসকদলের, নাজেহাল অবস্থা নেতা কর্মীদের

প্রায় প্রত্যেক বছরই শহীদ তর্পনের জন্য একুশে জুলাইয়ে জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ আসে তৃণমূলের। কিন্তু এবারে আর কোনো একুশে জুলাই নয়, আগামী 19 জানুয়ারি কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাতের জন্য কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক ঐতিহাসিক জনসমাবেশের ডাক দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দেশের প্রায় সিংহভাগ রাজ্যের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের। আর এই ঐতিহাসিক জনসমাবেশে জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে যাওয়ার জন্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বদের। তাই এবারে অন্তত 100 জন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দিলেন সেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। যা নিয়েই ঘুম ছুটেছে কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূলের সমর্থক সংখ্যা বেশি থাকলেও বুথ প্রতি ১০০ জন সংখ্যাটা অনেক বেশি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী সমর্থক ব্রিগেডের সেই সমাবেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা তৃণমূলের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই বৈঠকেই উপস্থিত জেলার ব্লক নেতৃত্বদের নির্দেশ দেওয়া হয় যে, বাস করে নিকটবর্তী স্টেশনে গিয়ে সেখান থেকে ট্রেন মারফত পৌঁছতে হবে কলকাতা। আর কলকাতায় হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে মিছিল করে রওনা দেওয়া হবে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে।

একাংশের মতে, তৃণমূলের বিভিন্ন সমাবেশে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় বিভিন্ন সময় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। আর এবার সরাসরি ট্রেন মারফত যাত্রা করার নির্দেশ দেওয়ায় সেই টাকা তোলার প্রবণতা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে দলের অনেকে। কেননা ট্রেন মারফত কলকাতায় পৌঁছলে একদিকে যেমন কর্মী সমর্থকরা নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারবেন ঠিক তেমনি বাসের নাম করে টাকা তোলার প্রবণতাও কমবে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেখানে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড়ের মত ব্লকগুলিতে শাসকদলের ভোটব্যাংকে ধ্বস নেমেছে, ঠিক সেই অঞ্চলগুলি থেকে আদৌ কি ব্রিগেডের এই সভায় যাবেন সাধারন মানুষ থেকে শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা?

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কিছু এলাকায় সংখ্যাটা উনিশ-কুড়ি হতে পারে। তবে কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড়ের এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। দল আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ব্লক নেতৃত্বরদের প্রত্যেককেই অন্তত 100 জন যাতে সেই ব্রিগেডে যায় ব্যাপারে প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা খারাপ ফলাফল হওয়া জেলাগুলি থেকে এবার ব্রিগেডে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল। আর তাইতো সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা মাথা তোলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির শক্তিক্ষয়ের জন্য সেখানকার প্রতি বুথ থেকে 100 জন কর্মী সমর্থক ব্রিগেডে নিয়ে যেতে তৎপর তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!