কলেজে ভর্তি নিয়ে নয়া সমস্যা, জেনে নিন বিস্তারিত! বিশেষ খবর রাজ্য July 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতবারেও এমনটা হয়েছিল। ঠিক এবারও সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়গুলো। জানা গেছে, একজন ছাত্র যতগুলো ইচ্ছে কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। এমনকি প্রয়োজনে ভর্তি হয়েও যেতে পারবেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে, তা অত্যন্ত সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশের সময়সীমা যদি পেরিয়ে যায়, তাহলে অনেক কলেজে প্রচুর আসন খালি থাকে। কিন্তু কোথাও কোথাও জায়গা না পেয়ে একদল পড়ুয়া কার্যত হন্যে হয়ে দিশেহারা অবস্থায় ঘুরতে শুরু করেন। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় বড়সড় প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার একটি কলেজের অ্যাডমিশন কমিটির আহ্বায়ক বলেন, “আমাদের এবারও এই সমস্যাটা মাথায় নিয়ে চলতে হবে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলোতে আবেদনের প্রসেসিং ফি ও ভর্তির খরচ এমন কিছু বেশি নয়। তাই অনেকে তিন-চারটি কলেজে ভর্তি হয়ে থাকেন। কিন্তু কতজন শেষমেষ সেই কলেজে পড়াশোনা করাবেন, তা বোঝা যাবে ক্লাস নেওয়ার সময়। কিন্তু এবার তা কবে শুরু হবে, তা ঠিক নেই। ফলে প্রকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের হিসেব কলেজের কাছে থাকবে না। করোনা পরিস্থিতিতে ফাকা আসন শেষ মুহূর্তে পূর্ণ করা আরও কঠিন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, এবারে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। কেননা রাজ্য এবং সর্বভারতীয় বোর্ডগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই সব পরীক্ষা হয়নি। তাই যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে, তার ভিত্তিতেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে যারা অংকের ছাত্র, তারা জীববিদ্যা এবং রসায়নে ভাল হবেন এটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে। বস্তুত, একদিকে বোর্ডের ওপর কোনোরূপ ভরসা না করেই যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেয়। কিন্তু এবার তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রবেশিকা পরীক্ষার পক্ষে অনেকে থাকলেও, এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করতে পারছেন না তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু। তিনি বলেন, “দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে সারাদেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তখন তো এই আপত্তি ওঠেনি! আর যে গনিতে 100 বা 95 পেয়েছে, সে জীববিদ্যা বা রসায়নে 80 পাবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। আর যদি এত সংখ্যক স্নাতক স্তরের আসনে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা নিতেই হয়, তাহলে আর চূড়ান্ত সেমিস্টারে ভর্তির পরীক্ষা হল না কেন? অনলাইন পরীক্ষা সমাধান নয়।” সব মিলিয়ে এবার কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন করে সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -