এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কমিটি ঘোষণা হবে শুনে নতুন পছন্দমতো সম্ভাব্য সভাপতিদের নাম ছড়ানোর অভিযোগ!

কমিটি ঘোষণা হবে শুনে নতুন পছন্দমতো সম্ভাব্য সভাপতিদের নাম ছড়ানোর অভিযোগ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অতীতের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে সাংগঠনিক বৈঠকে সেই পর্যবেক্ষক তুলে দিয়ে কো-অর্ডিনেটর পদ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই কো অর্ডিনেটর তৈরি হতে না হতেই ব্লকে ব্লকে নতুন সভাপতিদের নাম শোনা যাচ্ছে। যার জেরে ব্লক স্তর থেকে শুরু করে একদম নিচুস্তরের তৃণমূলের সংগঠন কার্যত বিভাজিত হয়েছে বলে দাবি করছেন একাংশ। মূলত হবু সভাপতির সঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি অনুগামীদের লড়াই কার্যত সামনের সারিতে উঠে আসতে শুরু করেছে।

 

যেমন রানীনগর 1 পঞ্চায়েত সমিতির এবং তৃনমূলের সভাপতি পদে রয়েছেন আমিনুল হাসান। কিন্তু জেলায় সৌমিক হোসেন কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সেখানকার সভাপতি হিসেবে উঠে এসেছে জাকারিয়া হোসেনের নাম। আর তারপর থেকেই এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে আমিনুল হাসান বলেন, “তৃণমূলে সিপিএম এবং কংগ্রেস কিছু লোকজনকে নিয়ে সৌমিক হোসেন তৃণমূলকে ভাঙ্গাতে নেমেছে। তার অনেক আগেই রাজনীতিতে এসেছি। ওর কাছ থেকে শেখার কিছু নেই। এভাবে সভাপতির নাম ভাসিয়ে দিয়ে আখেরে দলের বড় ক্ষতি করা হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে রাজি নন সৌমিক হোসেন। তিনি বলেন, “ব্লকের সভাপতি কে হবেন, সেটা তো দল ঠিক করবে। আমরা কারও আমি ভাসিয়ে দিইনি। এতে হিংসের কিছু নেই। এই পরিস্থিতি খুব কম সময়ের মধ্যে মিটে যাবে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূলের নিচুস্তরে এখন সভাপতি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

 

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “জন্মলগ্নের পর থেকে তৃণমূলকে এমন সাংগঠনিক সমস্যায় পড়তে হয়নি। জেলা কমিটি গঠন এবং সভাপতি বদল না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। অন্য দল যখন ঘর গোছাচ্ছে, তখন তৃণমূলে চলছে ভাঙার খেলা।” বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের নজরদারির পরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না কমা সত্যিই তাদের বড় চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলা এমনিতেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তার মধ্যে এখানে তৃণমূল ঘাসফুল ফোটানোর চেষ্টা করলেও যেভাবে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাদের বাড়তে শুরু করেছে, তাতে তারা নিজেদের শৃঙ্খলা রক্ষা না করে কিভাবে বিরোধী দলকে মোকাবিলা করবে, তা বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্লেষকদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল নেতৃত্ব দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!