এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে কি বললেন সোমেন মিত্র ! জেনে নিন

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে কি বললেন সোমেন মিত্র ! জেনে নিন

রাজ্যে খাতায় কলমে এখনও বিরোধী দল কংগ্রেস। কিন্তু একের পর এক নির্বাচনে যেভাবে দলের ভরাডুবি হয়েছে তাতে বিধানভবন থেকে হাইকমান্ড প্রত্যেকেই চিন্তিত বঙ্গের দলীয় সংগঠন নিয়ে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যে তৃনমূলের গড় বেশ শক্তিশালী। বিজেপিকে সরাতে তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সম্পর্কও বেশ মধুর। কিন্তু সেই মধুর সম্পর্কে বারবার বাধা আনছিল আদ্যপ্রান্ত মমতা বিরোধী প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

কেন্দ্রে যাই হোক না কেন রাজ্যে যে তৃনমূল এবং বিজেপিকে সরাতে বামেদের সাথেই তারা হাত মেলাতে চায় তা বারে বারে স্পষ্ট করেছেন অধীর চৌধুরী। এবার সেই অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসানো হল সোমেন মিত্রকে। কিন্তু পদে বসলেও কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বাংলার এই সংগঠনকে? পূর্বসূরী অধীর চৌধুরীর মত বামেদের সাথে জোট করবেন নাকি হাইকমান্ডের নির্দেশানুযায়ীই চলবেন?

সূত্রের খবর, সভাপতি পদে বসার পরেই এদিন বিধানভবনে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রদেশ কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “কংগ্রেসকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে। সংগঠকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।” এখানেই অনেকে মনে করছেন যে, গত বিধানসভা থেকে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনে বামেদের সাথে জোট করেছিল কংগ্রেস। এমনকী ভবিষ্যতেও যাতে প্রতিটা নির্বাচনে সেই বামেদের সাথে একজোট হয়ে লড়া যায় সেই ব্যাপারে সায় দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এদিন দলীয় সংগঠনকে নিজের পায়ে দাড় করানো কথা বলে সেই প্রাক্তনকেই খোঁচা দিলেন বর্তমানের সোমেন মিত্র।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাহলে কি এবার আগামী লোকসভায় এই রাজ্যে জোট হবে কংগ্রেস এবং তৃনমূলের? নব নির্বাচিত প্রদেশ সভাপতির কথাতে পাওয়া গেল না সেরকম কোনো সংকেত। উল্টে এদিন ইসলামপুরে পুলিশি গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোমেন মিত্র বলেন, “এই রাজ্যে পুলিশের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই । কোথাও ওসি কাঁদছে তো কোথাও থানা জ্বলছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বাংলা বিরোধীশূন্য হোক। তাই বিরোধী দেখলেই পুলিশ পেটাচ্ছে, আর সমাজবিরোধী দেখলেই ভয় পাচ্ছে।” সব মিলিয়ে ভবিষ্যতের জোটের কথা ভবিষ্যতের খাতাতেই তুলে রেখে চেয়ারে বসে এবার বাংলায় দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চান বিধানভবনের নতুন মালিক নবনির্বাচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!