লকডাউনে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! প্রতিবাদে বন্ধ হয়ে গেল ব্যাঙ্ক পরিষেবা! কলকাতা তৃণমূল রাজ্য July 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আগামী ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পরেই গেছে বলা যায় । শাসকদল, বিরোধী দলগুলির মধ্যে এ বিষয়ে তোড়জোড় ও শুরু হরে গেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের জন সমর্থন অটুট রাখতে দলের নেতা, কর্মীদের আরও বেশি মানবিক, আরও বেশি আন্তরিক হবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দীর্ঘকাল ক্ষমতার অলিন্দে থেকে বেপরোয়া, দাম্ভিক হয়ে উঠেছেন বেশ কিছু তৃণমূল নেতা, এমন অভিযোগ বারবার শোনা যাচ্ছে। এবার নদীয়া জেলার ধনতলা অঞ্চলে দলবল নিয়ে ব্যাংকে ঢুকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হুমকি ও হেনস্থা তথা মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির জনৈক সদস্যের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই রানাঘাটের ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জগদীশ মন্ডল ও জগন্নাথ রায় নিজেদের বেশ কিছু অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে নদীয়া জেলার ধনতলা এলাকার একটি কৃষি উন্নয়ন সমিতির ব্যাংকে যান, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁরা ব্যাঙ্কটিতে গিয়ে সেখানে নতুন করে সদস্যপদ দেবার দাবি জানান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন যে, সামনে ব্যাঙ্কের বার্ষিক সভা আগে, তার আগে নতুন করে কোন সদস্য নেওয়া সম্ভব নয়। ম্যানেজারের এই বক্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বচসা। ম্যানেজারকে রীতিমতো হুমকি দেন তৃণমূল নেতারা, সেই সাথে অন্যান্য কর্মীদেরও মারধর করতে শুরু করেন। এই বচসা ও মারধরের ঘটনা ধরা পরে যায় ব্যাঙ্কটির সিসিটিভি ক্যামেরায়। এই ঘটনাকে নিজের ক্যামেরা বন্দি করতে গেলে জামার কলার ধরে চরম হুমকি দেওয়া হয় এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে। ব্যাঙ্কের কর্মীরা ও সেসময় ব্যাঙ্কে উপস্থিত গ্রাহকেরা এই ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েন। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ধানতলা থানায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যতদিন না পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততদিন ব্যাঙ্কের নিরাপত্তার খাতিরে তাঁরা ব্যাঙ্কটি বন্ধ করে রাখবেন। কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার পর গত ২৩ সে জুলাই থেকে ব্যান্ড করে রাখা হয়েছে এই সমবায় ব্যাঙ্কটি। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার ফলে প্রবল সমস্যায় ব্যাংকটির গ্রাহক তথা সাধারণ জনগন। আপনার মতামত জানান -