এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউনে মাথায় হাত! কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন মাস্ক-নির্দেশিকায় বিপুল ক্ষতির মুখে ব্যাবসায়ীরা?

লকডাউনে মাথায় হাত! কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন মাস্ক-নির্দেশিকায় বিপুল ক্ষতির মুখে ব্যাবসায়ীরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধে টিকে থাকতে প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছিলেন মাস্ক ব্যবহার করার। সাধারণত করোনা এড়াতে দূরত্ববিধি মেনে চলার সাথে সাথে ড্রপলেট আটকানোর জন্যও বেশকিছু বিধিনিষেধ আছে। তার মধ্যে মাস্ক ব্যবহার অন্যতম। আর তার জন্যই প্রথম থেকে n95 মাক্স পড়ার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে সব থেকে বেশি। যদিও মাস্ক ব্যবহার করা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমদিকে যাদের করোনা হয়েছে তাঁদেরকে শুধু মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছিল।

কিন্তু পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের এই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে n95 মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে। বলা হচ্ছে, রেসপিরেটর লাগানো মাস্ক ব্যবহার করলে করোনা আটকানো যাবেনা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভালভ যুক্ত মাস্ক পড়লে করোনার হাত থেকে নিস্তার মিলবে না বরং সংক্রমণ আরও ছড়াবে। আর তারপর থেকেই ভালভ যুক্ত মাস্ক কেনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং এই ধরনের মাস্ক বিক্রি করে যারা ব্যবসা বাড়াচ্ছিলেন, তাঁরাও পড়েছেন বিপাকে।

করোনা সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথেই মাস্ক ব্যবহার বাড়তে শুরু করে। একসময় মাস্কের চাহিদা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, যখন বেশি দাম দিয়েও মাস্ক কিনতে পারেনি অনেক ক্রেতাই। পরবর্তীতে মাস্কের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা বেশি করে মাস্ক আনতে শুরু করেন এবং মজুদ করতে শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে সিউড়ি শহরের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এতদিন পর্যন্ত n95 মাস্কের চাহিদা বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে n95 মাস্কের বিরুদ্ধে যেভাবে সর্তকতা জারি করা হয়েছে, তার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বহু মাস্ক বিক্রেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত ভালভ যুক্ত মাস্কের চাহিদা বেশি ছিল তাই সেগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে আনা ছিল। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ মানুষ এই ভালভ লাগানো মাস্ক কেনা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যথারীতি অতিরিক্ত n95 মাস্কগুলি ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা দেখছেননা ব্যবসায়ীরা। এক সময় মাস্কের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা অনেক বেশি দামে n95 মাস্ক কিনে মজুদ করেছিলেন। আপাতত পুরো টাকা লোকসান হওয়ার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে কাপড়ের মাস্কের ব্যবহার বাড়ছে এবং সেই অনুযায়ী বিক্রিও বাড়ছে। যথারীতি এর ফলে কাপড়ের মাক্স বিক্রেতারা কিছুটা আশার আলো দেখছেন।

অন্যদিকে n95 মাস্কের দাম অত্যাধিক বেশি ছিল। সে জায়গায় কাপড়ের মাস্কের দাম অনেক কম। ফলে সাধারণ গরিব মানুষরাও এবার কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কাপড়ের মাস্ক বানিয়ে অনেকেই রোজগারের পথ খুঁজছেন। তবে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করলেও তিন লেয়ারের মাস্ক ব্যবহার করার কথাই বলা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে। অন্যদিকে n95 মাস্ক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এখনও বহু জায়গায় বহু মানুষকে n95 জাতীয় ভালভযুক্ত মাক্স ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। তবে সব দিক থেকে n95 জাতীয় মাক্স যারা এতদিন বিশাল লাভ রেখে বিক্রি করছিলেন, তাঁদের এবার মাথায় হাত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!