এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাত্র ৩ দিনেই রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়ল ১৫০%, করোনা নিয়ে আশঙ্কার মেঘ চেপে বসছে বাংলায়!

মাত্র ৩ দিনেই রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়ল ১৫০%, করোনা নিয়ে আশঙ্কার মেঘ চেপে বসছে বাংলায়!


পঞ্চম দফার লকডাউন কিছুটা হলেও শিথিল হয়েছে। যেখানে রেড জোন, গ্রীন জোন এবং অরেঞ্জ জোন উঠে গেলেও, যে সমস্ত এলাকায় করোনা ভাইরাসে বিধ্বস্ত সেই সমস্ত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। আর যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রয়োগ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই বাংলায় আশ্চর্যজনকভাবে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল।

সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যে যখন এফেক্টেড জোনের সংখ্যা ছিল 718, মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 844 টিতে। যার ফলে চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে প্রায় তিন দিন আগে বাফার জোনের সংখ্যা যেখানে ছিল 358, এদিন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 727 টিতে। সেদিক থেকে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা যদি দেখা যায়, তাহলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 1571 টিতে। আর এই ঘটনাতেই ব্যাপক চিন্তা বাড়ছে গোটা রাজ্য জুড়ে।

সরকারি তথ্য মারফত জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় তিন থেকে চারটি জেলা বাদে সব জায়গাতেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কার্যত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোচবিহার জেলায় একটিমাত্র কনটেইনমেন্ট জোন না থাকলেও, সেখানে 29 টি জোন হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এছাড়াও কলকাতা থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে বাঁকুড়া, বীরভূম থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং থেকে শুরু করে দার্জিলিং প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় দ্রুত কনটেইনমেন্ট এফেক্টেড জনসংখ্যা বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রশাসনের কাছে সবথেকে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বীরভূম, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদা জেলা। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত জেলায় বেশি পরিমাণে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। যার ফলে সেখানে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এই পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল করলেও যে ভাবে দ্রুত কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে প্রশাসন এখন প্রবল চিন্তায় রয়েছে।

কিভাবে পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনা যায়, তা কেউ জানেন না। তবে সচেতনতা এখন যে একমাত্র উপায়, তা পরিষ্কার সকলের কাছেই। অনেকে বলছেন, এত দ্রুত লকডাউনকে শিথিল করে দেওয়া উচিত হয়নি। কেননা বর্তমান সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বাইরে থেকে শ্রমিকরা রাজ্যে ঢুকতে শুরু করেছে। তাই এখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

তাই লকডাউন শিথিল করে দেওয়ায় অনেকেই নিজের মতো করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে শুরু করেছেন। যার ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেশ কিছু জেলায় হুহু করে বৃদ্ধির কারণে সকলের মনেই চিন্তা বাসা বেধেছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে এই কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!