করোনা আবহে বড়সড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের! সমবায় ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এল যুগান্তকারী পরিবর্তন! জাতীয় September 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের মধ্যে রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আমেন্ডমেন্ট বিল ২০২০। এর ফলে দেশের বিভিন্ন সমবায় ব্যাংক গুলি এখন থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতাধীন হতে চলেছে। এর ফলে এই ব্যাংকগুলির ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হতে চলেছে। এবং এই ব্যাংকগুলিতে নিশ্চিন্তভাবে অর্থ রাখতে পারবেন গ্রাহকেরা, প্রতারণার হাত থেকে তাঁরা রক্ষা পাবেন বলে, ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আমেন্ডমেন্ট বিল ২০২০ রাজ্যসভায় পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন যে, করোনা সংক্রমনের ফলে দেশের বিভিন্ন সমবায় ব্যাংক গুলি প্রচন্ডভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এবার সেখান থেকে মুক্তি লাভ করবে সমবায় ব্যাংক গুলি। অস্তিত্ব সংকটের দুশ্চিন্তা থেকে তারা রেহাই পাবে। এবং গ্রাহকরাও নিশ্চিন্ত হয়ে এই ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ রাখতে পারবেন। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল রাজ্যসভায় পেশ করাকালীন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আরও জানালেন, ” আরবিআই কেবলমাত্র সমবায় ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্কিং কার্যকলাপ নজরে রাখবে। কারণ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিপুল ধাক্কা খেয়ে এই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কিং সেক্টর। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও। সেই পরিস্থিতি থেকে নিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাবে এই বিল।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমনের ফলে দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও এ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। দেশের জিডিপির হার একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছেছে। কেন্দ্রের জিএসটির সংগ্রহও বিপুলভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে বিরোধী শিবির বারবার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি। বিরোধীদের অভিযোগ দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের ফলেই দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনা সংক্রমনের কারণে দেশের অর্থনীতি বিধ্বস্ত হওয়ায় ব্যাঙ্কিং সেক্টরে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক লেনদেন যথেষ্টভাবে স্তব্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বেশ কয়েকবার রেপোরেট কমাতে বাধ্য হয়েছে আরবিআই। সেইসঙ্গে একাধিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণও হ্রাস করা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -