করোনা আবহে দুর্গাপূজোর নিয়মাবলী ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, একনজরে দেখে নিন কলকাতা রাজ্য September 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে এবছর সমস্ত হিসাব উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে। এ বছর দুর্গাপূজায় প্রত্যেক বারের মতন রাস্তায় জনমানুষের ঢল নামবে কি নামবে না তাই নিয়ে চলছে জোরদার আলোচনা সর্বত্র। ইতিমধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে করলেন পুজো নিয়ে এক দীর্ঘ প্রশাসনিক বৈঠক। এখানেই তিনি জানিয়ে দিলেন, পুজো হবে এবং পুজোর আনন্দ বজায় রাখতে হবে করোনা বিধি মেনেই। এ বছরের পুজোর নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সেই নিয়মাবলী নিজের মুখে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরে রাজ্যে 37 হাজারের বেশি দুর্গা পুজো হচ্ছে রাজ্যে জানা গেছে। আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন, পুজো কমিটিগুলির কাছে প্যান্ডেল করতে হবে খোলামেলা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আবার জানিয়ে দিলেন যাদের চারিপাশ খোলা রাখতে অসুবিধা আছে, তাঁরা ছাদ খুলে রাখতে পারেন। প্যান্ডেলে শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে দর্শনার্থীদের। তার জন্য গণ্ডি কেটে দিতে হবে। ভিড় এড়াতে মণ্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ আলাদা করে দিতে হবে। তার সাথে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এবং মন্ডপের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশের আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, তৃতীয়া থেকে একাদশী রাতভর পূজা দেখা যাবে। কিন্তু প্রত্যেকটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য সতর্কতামূলক ঘোষণা করতে হবে প্যান্ডেল থেকে। প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই পূজা কমিটিগুলির জন্য মুখ্যমন্ত্রী 50 হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করেছেন। তার সাথে দমকল এবং কর্পোরেশনের কর মকুব করে দিয়েছেন। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও 50% ছাড় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা আবহে রেড রোডের পুজো কার্নিভাল বাতিল করতে হয়েছে। একই সাথে এবছর দলবেঁধে সিঁদুরখেলা বা অঞ্জলি করা যাবেনা বলে জানানো হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শারীরিক দূরত্বও মেনে অঞ্জলি এবং সিঁদুর খেলা করা যেতে পারে। এছাড়াও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবছর ভার্চুয়ালি হবে বিশ্ব বাংলার পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন অন্য ক্লাবগুলো যেন এবার সেভাবেই ব্যবস্থা করে। জানা গেছে, দুর্গাপুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের দিকে এবছর কড়া নজর রাখা হবে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা এবছর শাসক দলের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দুর্গাপূজা নিয়ে চলছে চূড়ান্ত মুহূর্তের ব্যস্ততা। তবে করোনা আতঙ্ক এখনো ঘিরে রেখেছে বাঙালিকে। তাই এবার দেখার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এর টান জেতে, নাকি করোনা আতঙ্ক আরো বাড়ে। আপনার মতামত জানান -