এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > 12 তারিখেই ঠ্যালা পাবেন মমতা, চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য!

12 তারিখেই ঠ্যালা পাবেন মমতা, চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কি করে তৃণমূলকে জব্দ করতে হয়, কি করে তৃণমূলের স্বেচ্ছাচারিতাকে ধরতে হয় এবং তা নিয়ে এই রাজ্যের শাসক দলকে নাস্তানাবুদ করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে প্রতিমুহূর্তে তাকে ভয় পেয়ে তার থেকে সাবধান থাকতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রীকে। কিন্তু এত কিছু করেও তিনি নিজের চালাকিকে আড়ালে রাখতে পারছেন না। লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এমন একটা কৌশল নিয়েছে যার ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, এরা ভোটার লিস্টেও কারচুপি করছে। অনেক জায়গায় মৃত ভোটারের নাম দুই জায়গায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও করা হচ্ছে ডাবল এন্ট্রি। ডায়মন্ডহারবার সহ বিভিন্ন জায়গায় ভোটার তালিকায় এই কারচুপি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এটাতেই তিনি থেমে থাকছেন না।

আগামী 12 তারিখে তিনি এমন এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যার ফলে প্রত্যেকটি জেলাতে তো বটেই, এমনকি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরেও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাঁধতে চলেছে হুলুস্থুল কান্ড। এমনিতেই তো স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এই রাজ্যে ভোট দিতে দেয় না তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তারা সব ভোট নিজেদের দখলে আনতে অসৎ উপায় অবলম্বন করে। কিন্তু লোকসভাতেও যদি মানুষ ভোট দিতে না পারে, যদি সেখানে ভোটার তালিকায় খেতে কারচুপি করে এই রাজ্যের শাসক দল, তাহলে গণতন্ত্রের সঠিক প্রতিফলন হবে না। তাই সেই কারচুপিকে ধরে এখন থেকেই যাতে তার সংশোধন করে নেওয়া হয়, তার জন্য চরম পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ভোটার লিস্টে কারচুপি নিয়ে বড় পদক্ষেপের কথা জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন যে, আগামী 12 তারিখ প্রত্যেকটি এসডিও অফিসে বিজেপির পক্ষ থেকে দুইজন প্রতিনিধি গিয়ে কি পরিমাণ কারচুপি হয়েছে, তার তালিকা তুলে দেবেন। আর জেলাগুলিতে এসডিও অফিসে যখন এই কর্মসূচি হবে, তখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে মাথায় বস্তা করে কাগজপত্র পৌঁছে দেবেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি নেতৃত্বরা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, শুভেন্দুবাবু এবার ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়েও একটা বড় আন্দোলন এই রাজ্যের বুকে তৈরি করতে চলেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় জায়গা পান এবং এক্ষেত্রে যাতে ভুয়ো কাউকে তৃণমূল শুধুমাত্র জেতার জন্যই ভোটার তালিকায় জায়গা না দিতে পারে, তার জন্যেই বিরোধী দলনেতার এই পদক্ষেপ। কারণ তিনি দেখেছেন যে, ভোটার তালিকায় বেশ কিছু ভুয়ো ব্যক্তিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র বিজেপি নেতাকর্মী বলে বিভিন্ন জায়গায় অনেককে সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই নিজেদের মেশিনারিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল যতই নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেটাকে ধরে ফেলে কি করে এই শাসক দলকে জবাব দিতে হয়, তার স্ট্র্যাটেজিও তৈরি করে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির দাবি, লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট হবে। তাই সেখানে সন্ত্রাস করার কোনো সুযোগ পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস। গায়ের জোরে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থ্যাতানি খেতে হবে তাদের। তাই সবটা বুঝেই ভোটে জেতা সম্ভব হবে না জেনে এখন ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে শুরু করেছিল এই রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু সেটাকেও ধরে ফেলে বিজেপি এক বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার ফলে লোকসভায় জেতার জন্য আবার একটা অসৎ উপায় অবলম্বন করলেও, তৃণমূলের ভান্ডা ফোর হয়ে গেল। বরঞ্চ এর ফলে তারা যে কুকীর্তি করেছে, তা যেমন সামনে চলে এলো, ঠিক তেমনই তৃণমূল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করে ষড়যন্ত্র করছেন প্রত্যেকটি মুহূর্তে এবং কি করে তার ষড়যন্ত্রকে আটকাতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই রাজনীতিতে তো বটেই। কৌশলগত দিক থেকেও তৃণমূল নেত্রীকে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন তিনি। এক্ষেত্রেও ভোটার তালিকায় কারচুপি করার পর্দাফাঁস করে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিতে চলেছেন এক বড় পদক্ষেপ। প্রত্যেকটি জেলায় এসডিও অফিসে যেমন বিজেপি কর্মীরা এই ভুয়ো ভোটার তালিকা নিয়ে পৌঁছে যাবেন, ঠিক তেমনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরেও পৌঁছে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বভাবতই লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের চালাকির পর্দা ফাঁস করে এই রাজ্যের শাসক দলের আরও একটা চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার মুখে। আড়ালে থেকে তারা যতই ভোটে জেতার অসৎ উপায় অবলম্বন করুন না কেন, এবার সেখানেও বাধাদান করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আন্দোলন তৈরি করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী‌র বক্তব্যের পরে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!