এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে কলকাতায় দালাল চক্রের রমরমা? সাংসদের সুপারিশে ভর্তি রোগীর পরিবারও প্রতারনার শিকার

করোনা আবহে কলকাতায় দালাল চক্রের রমরমা? সাংসদের সুপারিশে ভর্তি রোগীর পরিবারও প্রতারনার শিকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাসপাতালে দালাল রাজের ব্যাপারটি এখন আর নতুন কোন ব্যাপার নয়। হাসপাতালে গিয়ে দালালের সম্মুখীন হতে হয়নি এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে দেয়া হয়েও, অনেক সময়ই হাসপাতালে দালালদের টাকা না দিলে বেড পাওয়া যায় না, হাসপাতাল থেকে ডাক্তারবাবু এমন কোন পরীক্ষা করতে দিলেন, যে পরীক্ষার ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে নেই, তখন মানুষকে বাধ্য হয়েই দালালের সম্মুখীন হতে হয়, উপায়ন্তর না থাকার কারণেই দালালের দাবিও মেনে নিতে হয়।

সাম্প্রতিক, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও হাসপাতালে দালাল রাজ বিন্দুমাত্র কমেনি বরং তা বেড়েছে। সম্প্রতি কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া এক রোগীকে বাইরে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে আনার কথা বলা হলো। উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই করোনা আক্রান্ত মহিলাটি কিন্তু স্বয়ং শাসক দলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেনের সুপারিশেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, ডাক্তার শান্তনু সেনের সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট তারিখে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত এক মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন। এই মহিলার স্বামী অভিযোগ করেছেন যে, তিনি যখন হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিং এর বাইরে ছিলেন, সে সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁর হাতে একটি লেটারহেডের কাগজ ধরিয়ে দেন। এই কাগজের উপরের অংশটি ছেঁড়া ছিল। এই কাগজে পরিষ্কারভাবে চিকিৎসকের ষ্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর সহ ডেঙ্গু পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে কোন ল্যাবরেটরি থেকে এই পরীক্ষা করাতে হবে সেটাও কাগজে লেখা ছিল। আরও লেখা ছিল, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা করিয়ে খুব শীঘ্রই করাতে হবে। চিকিৎসার কারণে এই পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত দাখিল করা প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই লেটারহেড পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি জানতে পারলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতাল থেকেই বিনামূল্যে সমস্ত রকম পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এরজন্য বাইরে যাওয়া নিষ্প্রোয়জন। এরপর তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন তাঁকে কিছুতেই সুপারের অফিসে যেতে দেয়া হয়নি। এরপর তিনি ডাক্তার শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও সম্পূর্ণ বিষয়টি তাঁকে অবগত করান। এরপর ডাক্তার শান্তনু সেনের উদ্যোগেই তিনি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে তাঁর স্ত্রীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে সক্ষম হন।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালে দালাল চক্রের ব্যাপারটি যেন অমোঘ একটি ব্যাপার হয়ে উঠেছে, কিছুতেই যেন ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কিন্তু শাসক দলের সাংসদ, তথা চিকিৎসকের সুপারিশে ভর্তি হওয়া কাউকে যদি দালাল চক্রের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে সাধারন মানুষদের অবস্থা কি হবে? এই ব্যাপারটাই বাড়াচ্ছে সংশয় ও উদ্বেগ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!