করোনা আবহেই এবার রাজ্যের পুলিশদের জন্য বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা রাজ্য August 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই সামনের সারিতে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার-নার্স, পুলিশকর্মীরা। যখন সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখছে, তখন তাঁদের হাতে ওষুধপত্র, খাবার তুলে দিচ্ছেন এই সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধারাই। করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে পুলিশের কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন। আগামী বছর থেকে পয়লা সেপ্টেম্বর দিনটিকে পুলিশ দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আজ নবান্নে জানিয়ে দিলেন সাংবাদিকদের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, পুলিশকর্মীরা যেভাবে করোনা পরিস্থিতিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, তাঁদের সুযোগ সুবিধা দেখার জন্য এবার তৈরি হতে চলেছে ওয়েলফেয়ার বোর্ড। পুলিশের সমস্যায় সব সময় পাশে থাকবে এই বোর্ড বলে জানা গেছে। আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে এই বোর্ড কাজ শুরু করবে বলে খবর। অন্যদিকে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা পুলিশরাও এবার থেকে সমানাধিকার পাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি পুলিশকর্মীদের রাজ্যের আইন-শৃংখলার দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নজর রাখতে হচ্ছে করোনা পরিস্থিতিতে কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পড়েছেন কিনা, কেউ লকডাউন মানছেন কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে। অন্যদিকে বিভিন্ন কনটেইনমেন্ট জোনে এলাকার পুলিশরা পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার কিংবা ওষুধপত্র। আর তাই এবার পুলিশের কাজে পঞ্চমুখ হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে আরো পুলিশ লাইন এবং ব্যারাক তৈরি হবে আগামী দিনে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের সমালোচনাকারীদের একহাত নিয়েছেন। তিনি বেঙ্গল পুলিশকে অন্যতম বলে ব্যাখ্যা করেছেন এবং কলকাতা পুলিশের সঙ্গে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তুলনা করেছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই অবশ্য অন্য কথা বলছেন। সম্প্রতি পুলিশ লাইনে বেশ কিছু সমস্যার জেরে অসন্তোষ তৈরি হয় পুলিশের মধ্যে। যে কারণে পুলিশ কর্মীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, পুলিশকর্মীদের সেই বিক্ষোভকে নজরে রেখেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দরাজ গলায় পুলিশের প্রশংসা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাকভাবে বজায় রাখতে গেলে অবশ্যই পুলিশকর্মীদের প্রয়োজনের দিকে সবার আগে নজর দেওয়া উচিত। তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের সংগঠনকে খুশি করতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্ত। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক সমালোচনা। আপাতত দেখার মুখ্যমন্ত্রী আজকের সিদ্ধান্ত অর্থাৎ অয়েলফেয়ার বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত পুলিশকর্মীদের খুশী করতে পারে কিনা! আপনার মতামত জানান -