করোনা আবহে সুখবর! এবার বড়সড় কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে বাংলায়! সৌজন্যে মমতার এই স্বপ্নের প্রকল্প চাকরি রাজ্য August 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা ও সরকারকে প্রদেয় বিভিন্ন কর, বা বিভিন্ন ফি বা বিল অনলাইনের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্যের করোনা সংকটকালীন অবস্থায় জনসমাগম রুখতে সরকারিভাবে এই অনলাইন পরিষেবার উপরে খুব বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চল গুলিতে অনলাইন পরিষেবার যতটা সহজ লভ্য । রাজ্যের গ্রামগুলিতে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ততটা লভ্য নয়। অনেক স্থানেই দেখা যায় ইন্টার্নেট ক্যাফে বা তথ্য মিত্র কেন্দ্রের অপ্রতুলতা। তাই এবার রাজ্যবাসীকে আরো বেশি মাত্রায় অনলাইন পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকার একটি বিরাট সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। সাধারণ মানুষকে খুব সহজে অনলাইন পরিষেবা দিতে সরকার ঘোষণা করেছে নতুন প্রকল্প ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’। আরো আনন্দের খবর রাজ্যের এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ হাজার চাকুরীপ্রার্থীর কর্মসংস্থান হতে চলেছে। করোনা, আমফানের সময় যখন রাজ্যে উদ্দেশে হু হু করে বেকারত্ব বাড়ছে, সেসময় রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্পতে বিরাট নিয়োগের এই নিয়োগের ঘোষণা আশার আলো দেখাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে একাধিক সরকারি পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই পরিষেবা গুলির মধ্যে আছে জাতিগত শংসাপত্র, সরকারের বিভিন্ন ফি জমা দেওয়া, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আবেদন সমস্ত কিছু এখান থেকে করা যাবে। মূলত রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় এই কেন্দ্র গুলি চালু করা হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরি হতে চলেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়, যেখানে এর সংখ্যা হলো ২০৫ টি, এর পরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। সেখান হতে চলেছে মোট ১৯৮ টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র, এরপরই স্থান হুগলি জেলার। যেখানে গড়া হবে মোট ১৮০টি কেন্দ্র। তবে মহানগর কলকাতাতে এই কেন্দ্র গড়া হচ্ছে না। কারণ মহানগরীতে এরকম প্রকল্প ততটা লাভদায়ক হবে না যতটা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষেত্রে হতে পারে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সমগ্র রাজ্যে জুড়ে মোট ২৭০০ টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে চলেছে। এই প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য দুজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। আর এই নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি সংস্থা ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড। প্রসঙ্গত, এই সংস্থা ইতিপূর্বেই বিভিন্ন সরকারি অফিসে তথ্য প্রযুক্তির বিষয়ে কাজের জন্য বহু চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই এই নতুন প্রকল্পটিও নিয়োগের দায়িত্ব থাকছে এই সংস্থার। ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড সংস্থার চিফ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই কর্মী নিয়োগের ব্যাপারটি জানিয়ে দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প টি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ। প্রকল্পটির নিয়োগ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ইতিমধ্যেই ওয়েবেলের হাতে তুলে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট এই মন্ত্রক। এ প্রসঙ্গে টেকনোলজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট স্থানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের পরিকাঠামোর যদি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে থাকে, তবে শীঘ্রই সেখানে মনোনীত চাকুরী কর্মীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এই সংস্থা। কিন্তু যদি এখনো পরিকাঠামো প্রস্তুত না হয়ে থাকে, তবে প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পাঠানো হবে কর্মীদেড়কে। প্রকল্পটির জন্য মোট ৯৫ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে কেন্দ্রগুলিকে। জেলা শাসককে এই অর্থ খরচের অনুমোদনও দিতে চলেছে রাজ্যে পঞ্চায়েত দপ্তর। ৯৫ হাজার টাকা অর্থসাহায্যে এই কেন্দ্রগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগসহ দুটি কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ক্রয় করার কথা বলা হয়েছে। এই নতুন প্রকল্পের জন্য চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের জন্য কোন নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে না। বিডিও, এসডিও, বা জেলাশাসকের অফিসের অব্যবহৃত কোন ভবনে, কিংবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোন গ্রন্থাগার, বা কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতালের কোন অব্যবহৃত ভবনে এই নতুন প্রকল্পের অফিস চালু করা হবে। রাজ্যে দ্রুততার সঙ্গেই প্রকল্প চালু করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সম্প্রতি রাজ্যের মোট ২৭০০ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯০৬ টি হতে চলেছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, ৭৮ টি চালু হতে চলেছে গ্রন্থাগারে। তবে, রাজ্যসরকারের তরফ থেকে জানান হয়েছে যে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা অন্যান্য সরকারি অফিসের স্বাভাবিক পরিকাঠামো বা পরিষেবা বিঘ্নিত না করেই এই নতুন প্রকল্প চালু করতে হবে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি উপযুক্ত কর্মীর অভাবে প্রতিদিন খোলা সম্ভব হয়না গ্রামের বিভিন্ন গ্রন্থাগার, কর্মীর অভাবে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েও পড়ে আছে বহু গ্রন্থাগার। সেসব জায়গায় যদি নতুন প্রকল্প চালু হয় সেটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এ প্রসঙ্গে তিনি অনুরোধ করেছেন, গ্রন্থাগার গুলি যেন এই প্রকল্পের জন্য কোনোভাবেই বন্ধ না হয়ে পড়ে। আপনার মতামত জানান -