প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পর পর সামনে আসছে একাধিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর। একদিকে যেমন কমছে করোনাতে মৃত্যু সংখ্যা, তেমনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের। করোনার চেন ভাঙ্গা সম্ভব হয়েছে বলা হলেও তা যে আদৌ তার প্রভাব বিস্তার করতে ছাড়ছে না, সেটা বলাই বাহুল্য। আর সেই প্রভাবে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ থেকে হেভওয়েট নেতা মন্ত্রীরা।

এর আগেও জনগণের সেবায় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। সেখানে তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। তবে সেই কারণে নিজেদের কাজ থেকে পিছিয়ে আসেননি কেউই। উল্টে আরও বেশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পথে নেমেছেন তাঁরা। তবে এবার জানা গেছে ফের করোনা আক্রমণ হয়েছে বঙ্গ বিজেপির শিবিরে। আর এবার আক্রান্ত হয়েছেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। এদিন নিজেই টুইটে দুঃসংবাদটি জানিয়েছেন তিনি।

সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ একটি টুইট করেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি টুইটে জানান, তাঁর শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাসের খোঁজ। সেই সঙ্গে, শেষ ৫ দিনে যে বা যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন এই বিজেপি নেত্রী। তবে তিনি বাড়িতেই আছেন এবং সুস্থ থাকবেন সেই আশাই রাখা হয়েছে। তবে এর আগেও বাংলায় বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-সাংসদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। সুস্থ হয়ে ঘরেও ফিরেছিলেন তাঁরা।

সেই সময় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত চ্যাটার্জি সহ অনেকেই ছিলেন সেই তালিকায়। এছাড়াও আপ্ত সহায়ক এবং গাড়ির চালকদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ সহ সায়ন্তন বসুর মত একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীকেও হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছিল। অন্যদিকে মুকুল রায়কে রাজ্য সদর দপ্তরে যেতেও দেখা যায়নি অনেকদিন।

তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১৮১ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই রয়েছে ৬৬৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৮ জন। এরপরই সেই আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৪জন, হাওড়াতে ১৭০জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪৬ জন ও হুগলিতে ১৪০ জন। তবে পূর্ব বর্ধমানে সেই সংখ্যাটা ৫৬জন, বীরভূমে ৭৭জন, পুরুলিয়াতে ৫৬ জন। সেই সঙ্গে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৪০ জন। এখানে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। তার মধ্যে কলকাতায় মৃত যেখানে ১৩ জন, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনায় করোনাতে ১৪ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন হারিয়েছেন ৪ হাজার ৭২১ জন।