এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভারতে এবার আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ! আতঙ্ক বাড়িয়ে বড়সড় দাবি জাপানি বিশেষজ্ঞদের

ভারতে এবার আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ! আতঙ্ক বাড়িয়ে বড়সড় দাবি জাপানি বিশেষজ্ঞদের


করোনা ভাইরাসের চোখ রাঙানির জেরে গোটা বিশ্বের মৃত্যু মিছিল চলছে। বিশ্বজুড়ে মানুষ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বর্তমানে ঘরবন্দি কার্যত বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ২১৩ টি দেশ বর্তমানে করোনা সংক্রমিত। এর মধ্যে ভারত করোনা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।

ইতিমধ্যে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজারের বেশি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে আনলক-১ অর্থাৎ লক যাওনি শিথিলতা আনার কারণে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে জাপানের ফিন্যান্সিয়াল রিসার্চ সংস্থা নমুরা।

নমুরা সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের উপর ভিত্তি করে একটি জরিপ প্রকাশিত করে।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নমুরার পেশ করার রিপোর্ট অনুযায়ী,”জরিপে একটি মিশ্র ফলাফল এসেছে। অর্থনীতির বড় অংশ খুলে গেছে এমন ১৭টি দেশে সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আসার লক্ষণ নেই। ১৩ টি দেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ঝুঁকি তুলনামূলক কম। ১৫ টি দেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি প্রবল। এই সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ভারত‌ও।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নমুরার রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে ১৫টি ঝুঁকিপ্রবণ দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলিতে লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেই করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নমুরা করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশগুলিকে তিনটি বড় ভাগে ভাগ করেছে। প্রথম ভাগটি হল ‘অন ট্রাক’ বা সবকিছু স্বাভাবিক, দ্বিতীয় ভাগটি হল ‘ওয়ার্নিং সাইনস’ বা সতর্কতার লক্ষণ এবং সর্বশেষ ভাগটি হল ‘ডেঞ্জার জোন’ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি প্রবল।

সূত্র অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে সংক্রমণ অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত জানা গেছে লকডাউন শিথিল হওয়ার ফলে দেশগুলিতে দুটি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বিশেষজ্ঞগণ। তাদের ধারণা অনুযায়ী লকডাউন হালকা হলে একদিকে মানুষ তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণাধীন হবে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানো গেলেও করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা অতিরিক্ত হয়ে যাবে।

এদিকে নমুরার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ‘ডেঞ্জার জোন’ -এ যে দেশ গুলি রয়েছে তারমধ্যে নিম্ন ও মধ্য অর্থনৈতির দেশ গুলি যেমন ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, চিলি ইত্যাদি রয়েছে। ‘ডেঞ্জার জোন’-এর অন্তর্গত উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে রয়েছে সুইডেন, সিঙ্গাপুর, কানাডা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে নমুরার তরফে ‘ডেঞ্জার জোন’- এর অন্তর্গত দেশগুলিকে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!