এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা নিম্নমুখী হতেই এবার স্কুল কলেজ খোলার ইঙ্গিত রাজ্য সরকারের, স্বস্তি পড়ুয়া মহলে

করোনা নিম্নমুখী হতেই এবার স্কুল কলেজ খোলার ইঙ্গিত রাজ্য সরকারের, স্বস্তি পড়ুয়া মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি। সেই থেকে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতন পশ্চিমবঙ্গেও স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। মাঝে অবশ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে উঁচু শ্রেণি এবং কলেজ খুলেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের অপেক্ষায় যখন সবাই, ঠিক সেসময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা করা হচ্ছে স্কুল কলেজ খোলার। তবে সেক্ষেত্রে পুজোর পরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ যথেষ্ট নিম্নমুখী।

আর সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নবান্নে গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটির মিটিং বসেছিল, যে মিটিংয়ে হাজির ছিলেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুল কলেজ খোলার পাশাপাশি এই বৈঠকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা কিভাবে করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুজোর পর রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদি করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকে, তাহলে পুজোর ছুটির পর একদিন অন্তর একদিন সমস্ত স্কুল খোলা হবে।

অন্যদিকে কলেজ খোলা নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী কিছু জানাননি। তবে স্কুল খোলার সম্ভাবনার কথা তিনি জানিয়েছেন। এখানে প্রশ্ন আছে বেশ কয়েকটি। উল্লেখ্য, স্কুল খুললে শুধুমাত্র উঁচু ক্লাসের স্কুল হবে নাকি নিচু ক্লাসের পড়ুয়ারাও স্কুলে যাবে, তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে স্কুল খোলার ঘোষণায় রাজ্যের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের এবং শিক্ষা মহলে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শিক্ষক সংগঠনগুলির অবশ্য দাবি, পুজোর পর স্কুল খুলতে গেলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে। কিন্তু ততদিনে সময় নষ্ট হতে পারে অনেকটাই। নতুন করে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনাও দূরে ঠেলে দেওয়া যাচ্ছেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্কুল খোলা যেতে পারে এবং একদিন অন্তর একদিন স্কুল করাও যেতে পারে। অন্যদিকে এই বৈঠকের পর অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যত বেশি পরিমাণে ভ্যাক্সিনেশন হবে ততো বেশি মানুষ সুরক্ষিত হবেন। দুর্গাপুজোর পরে যাতে কোনো মতেই বর্তমান পরিস্থিতির আরো অবনতি না হয়, সেজন্য একটি পৃথক প্রটোকল তৈরি করা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রচেষ্টা অনেকটাই চোখে পড়েছে। অক্সিজেন সাপ্লাইসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভয় না পেয়ে জ্বর, শ্বাসকষ্ট সহ কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

একই সাথে জানা গিয়েছে রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের অভাব নেই। পাশাপাশি টেস্টিং এর ব্যবস্থাও ভালই রয়েছে। গ্রামেগঞ্জে ট্রেনিংপ্রাপ্ত আশা কর্মী এবং ডাক্তাররা রয়েছেন। সব মিলিয়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে রাজ্য সরকার যে পুরোদমে তৈরি সে কথাই উঠে এসেছে। অন্যদিকে পুজোর পর স্কুল খুলতে গেলে স্কুলগুলিকে কি কি বিধি নিষেধ মানতে হবে তা নিয়েও এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে শুধুমাত্র প্রাথমিক ঘোষণাতেই কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। আগামী দিনে যাই সিদ্ধান্ত হোক না কেন, তা যে করোনার পটভূমিকায় হবে, সে কথা নিশ্চিন্তে বলা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!