এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা ভ্যাক্সিন আপডেট: কোন পথে সমাধান, কেন্দ্র সরকারের বড়সড় মাস্টারপ্ল্যান সামনে এল!

করোনা ভ্যাক্সিন আপডেট: কোন পথে সমাধান, কেন্দ্র সরকারের বড়সড় মাস্টারপ্ল্যান সামনে এল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে এখন সমস্ত মানুষের কাছে একটাই চাওয়া সেটা হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিদিন সামনে আসছে নতুন নতুন তথ্য। কখনো তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে, কখনো বা বিভিন্ন দেশে চলতে থাকা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সম্পর্কিত। তবেমদের দেশে কিভাবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা যায় সেই নিয়েও কথা হয়েছে এতদিন। সেইসঙ্গে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সম্প্রতি জানা গেছে ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চললেও তার সঙ্গে যে দুটি ভারতের নিজস্ব ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল, সেই দুটোর কোনটি হয়তো বছরের শেষে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল রাশিয়া ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে এবং সরকারিভাবে সেই ভ্যাকসিন টেস্ট-এর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছিল সেই ভ্যাকসিন নাকি ভারতসহ পাঁচটি দেশে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। সেইসঙ্গে নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল, সেরাম ইনস্টিটিউট , জাইদাস ক্যাডিলা, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং ভারত বায়োটেকের সঙ্গে কথা বলেছিল কেন্দ্র সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেসময় জানা যায়, অক্সফোর্ডের তৈরি আরও একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভালো সাড়া মেলে। এরপরই ভারতে এই টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট। এরপর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষাও হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই সঙ্গে বর্তমানে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রায় সফল হয়েছে বলে খবর রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই উৎপাদনেও অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য ছিল এত সংখ্যক জনসংখ্যার দেশে, প্রতি মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করাটাও অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই যতটা সম্ভব সময় সাশ্রয় করা যায় সেই কথা মাথায় রেখেই এই পন্থার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সরকারিভাবে বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফল হলে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইমতোই প্রধানমন্ত্রী সমস্ত মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রে প্রথমে দেশীয় সংস্থাকে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। করোনার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মাথায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাই চলতি বছরের শেষের দিকেই দেশে ভ্যাকসিন চালু করার উপর জোর দিচ্ছে সরকার। আর ভ্যাকসিন চালু হলে তা বণ্টনের ক্ষেত্রেও যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেইসব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র মন্ত্রক। তাই আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!