এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দুর্গাপুজো মণ্ডপেও অভিযান বাংলাপক্ষের, নতুন আবেদন , সাড়া মিলবে কি?

দুর্গাপুজো মণ্ডপেও অভিযান বাংলাপক্ষের, নতুন আবেদন , সাড়া মিলবে কি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলাতে নেই কোনো বাঙালিয়ানা। চারিদিকে অন্য ভাষার রমরমা। বাঙালি হয়েও বাংলাটা ঠিক আসেনা অনেকেরই। অথচ যে ভাষায় প্রথম শিখেছিলেন কথা বলতে, সেই ভাষাকেই বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে অবহেলা করাটা মোটেই মেনে নিতে রাজি নয়, বাংলা পক্ষ।

পুজো এসে গেছে। আর উৎসব মানেই প্যান্ডেলে গান, হইহুল্লোড়। তবে এবার সেই গান যাতে হয় বাংলা, সেই চেষ্টাতেই জুটেছে বাংলা পক্ষ। ফলত পুজোর ক্লাব কমিটি গুলোকে গিয়ে গিয়ে সেই আর্জি জানাতে দেখা যাচ্ছে তাদের। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাকে অবমাননা করা যায় না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

তবে এটা প্রথম না, এর আগেও তাদের এহেন অভিযোগ আনতে দেখা গিয়েছিল এফএম রেডিওর বিরুদ্ধে। বাংলার মাটিতে বসেও রেডিওতে সারাদিন একের পর এক হিন্দি গান, সঞ্চালনাতেও হিন্দি ভাষা ব্যবহার, দিনে বড়জোর এক থেকে তিনবার বাংলা গান চালানোর অনেক অভিযোগ নিয়েই প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল বাংলাপক্ষকে।

বস্তুত, বহুদিন ধরেই বাংলাতে এফএম রেডিও ফিভার ও রেডিও ওয়ান নামক দুটি জনপ্রিয় রেডিও চ্যানেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। বাংলা পক্ষের দাবি ছিল বাংলার মাটিতে ব্যবসা করেও সেখানে বাংলা সঞ্চালনা বা বাংলা গান করা হচ্ছে না। তাই এর প্রতিবাদে নিউটাউন ডি এল এফে ফিভার ও রেডিও ওয়ানের অফিস বাংলাপক্ষ ঘেরাও করেছিল বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের দাবি ছিল বাংলার মাটিতে ব্যবসা চালাতে গেলে এদের দুজনকেই প্রতিদিন একটি নিয়মিত সময় ধরে একটি নির্দিষ্ট বাংলা অনুষ্ঠান এবং সেই অনুষ্ঠানে বাংলা সঞ্চালনা রাখতে হবে। আর এই দাবিতেই একটি আবেদনপত্র জমা দিতে যান তাঁরা। সেখানে প্রথমে সেই পত্র জমা নিতে না চাইলে বাংলাপক্ষ নিউটাউনের রাস্তায় বিক্ষোভ করে।

পরে ঘটনাস্থলে নিউটাউন পুলিশ পৌঁছালে আবেদনপত্র জমা নিতে রাজি হয় ফিভার ও ৯৮.৩ রেডিও ওয়ান চ্যানেল। একইভাবে রেড এফ এম ৯৩.৫ এ বাংলা গান না বাজানোর বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল বাংলা পক্ষ-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সংগঠনকে। জেলার তরফে এফ এম দফতরে গিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে বাংলা গান বাজনার অনুরোধ করা হয়েছিল। বাংলা পক্ষের অভিযোগ ছিল, এফএম’এ বাংলা ভাষায় চলে না কোনও গান বা সঞ্চালনা শুধু চলে বিরতিপর্ব।

বস্তুত, ‘অ্যাডভাটাইসমেন্ট থেকে টাকা আসে তাই শুধু চলে বাংলা ভাষার অ্যাড। সেই টাকাও চলে যায় বাংলার বাইরে। তাই বাঙালী তাদের কাছে শুধুই পণ্য হিসেবে বিবেচিত। বাংলার গান বাজালে বাংলার ছেলে-মেয়েরাই চাকরি পাবে। তাই বহিরাগতরা এখানে এসে পয়সা উপার্জন করবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না।

তবে সরকার চু্প’ বলে, সরকারকেও অভিযোগ করেন বাংলাপক্ষর হাওড়ার জেলা সম্পাদক। জয় বাংলা স্লোগানে বাংলা ভাষার ন্যায় চেয়ে তাঁদের প্রতিবাদ করতে শোনা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে ওই প্রতিবাদে তাঁদের সম্মতি জানাতে দেখা গিয়েছিল গায়ক রুপঙ্কর বাগচী থেকে রুপম ইসলামের মতো বাংলার শিল্পীদের। তবে এবারও তাঁদের এই অভিনব প্রথা পুজোতে বাঙালির কাছে বাংলাকে আরো কাছাকাছি আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!