এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > করোনা রুখতে একগুচ্ছ প্রকল্প জারি নবান্নের তরফ থেকে, জেনে রাখুন কাজে লাগবে আপনাদেরই

করোনা রুখতে একগুচ্ছ প্রকল্প জারি নবান্নের তরফ থেকে, জেনে রাখুন কাজে লাগবে আপনাদেরই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একেই করোনা, তার ওপরে নির্বাচন, সবকিছু নিয়ে শাখের করাত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। নির্বাচনের কারণে প্রচার, জনসমাগম, জনসভা, তীব্র করে দিচ্ছে করোনার সংক্রমণকে। এদিকে দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ সপ্তাহ খানেক ধরেই দৈনিক ২ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

এবার নবান্নের পক্ষ থেকে এক বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হলো। যার মধ্যে রয়েছে- বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি দপ্তরে যতটা সম্ভব কর্মীদের বাড়িতে রেখে কাজ করানো ইত্যাদি একাধিক বিষয়। আবার নির্দেশিকাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।

তাহলে আর দেরি না করে, এবার জেনে নিন সরকারের নির্দেশিকা। সরকারি নির্দেশিকাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, বাস হোক, ট্রেন হোক কিংবা গাড়ি, যেকোনো রকম গণপরিবহনেই মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা সহ সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সপ্তাহে অন্তত একবার নিয়ম করে করতে হবে স্যানিটাইজেশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্দেশিকাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বাজার, সরকারি গণপরিবহন, এমনকি নিজের গাড়িতে চড়তে গেলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গত বছর যে ভাবে বাজারগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছিল, আবার তা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

জনসমাগম রাখতে বেশ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, দোকান, বাজার, কলকারখানায় কর্মচারী বা গ্রাহক নিয়ে কোনোভাবেই ভিড় করা চলবে না। সরকারি দপ্তর গুলিতে ৫০ % কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রটেশনাল ভাবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কাজে যোগদান করাতে হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে কর্মীদের যতটা সম্ভব বাড়িতে রেখে কাজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। নয়তো রটেশনাল ভাবে কাজ করাতে হবে।

নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে, শপিংমল, মাল্টিপ্লেক্স, থিয়েটার, রেস্তোরাঁয় প্রবেশের পথে বাধ্যতামূলকভাবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে, মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব। স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল গুলির ক্ষেত্রে পূর্বের নির্দেশ মত কাজ করতে হবে। নির্দেশিকাতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, উল্লিখিত বিধিনিষেধ গুলি অমান্য করলে বা অসতর্ক হলে তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে যেভাবে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, তাতে এখন থেকেই রাজ্যের নানা হাসপাতালে বেডের অভাব শুরু হয়েছে। এ কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনা সংক্রমণ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করতে, সংক্রমণ কম থাকলে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাতে। এদিকে বেশকিছু রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহের শেষে লকডাউন, রাত্রিকালীন কার্ফুর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!