এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা সতর্কতায় পুজোর মুখে কি অপরিহার্য, না মানলে হতে হবে শাস্তির মুখোমুখি, জেনে নিন

করোনা সতর্কতায় পুজোর মুখে কি অপরিহার্য, না মানলে হতে হবে শাস্তির মুখোমুখি, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রবিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 4000 ছুঁই ছুঁই। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন টালাবাহানার পর রাজ্যজুড়ে দুর্গাপূজা করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথে করোনা বিধি মেনে চলার ব্যাপারেও সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, মাস্ক না পড়ে থাকলে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবছরের পুজোয়।

বিশেষজ্ঞরা আগেই নিদান দিয়েছিলেন, করোনার মধ্যেই দুর্গাপুজোয় ভিড় জমালে পরবর্তীতে অবস্থা কিন্তু ভয়ঙ্কর হবে। এ ব্যাপারে কেরালার ওনাম উৎসবের উদাহরণ দেওয়া হয়েছিল। আর এবার রাজ্যে করোনার সংক্রামিতর সংখ্যা বেড়ে চলার সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স এবং হাসপাতালের বেড পর্যাপ্ত পরিমাণে জোগান রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুজো উপলক্ষে এদিন নবান্নে উচ্চপর্যায়ের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের কমিশনার, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অন্যান্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য পুলিশ কমিশনাররা ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য নিজে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি। কিন্তু টেলিফোনে তিনি সমস্ত নির্দেশ দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য ও কলকাতা পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন সকলে মাস্ক পড়ে থাকছেন কিনা, তা দেখার জন্য। দুর্গাপুজোর মধ্যেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রবল হারে। দৈনিক মৃত্যুতে সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিমবাংলা। সুতরাং পূজার মধ্যে অসতর্ক হলেই সংক্রমণের গ্রাফ যে আরো চড়বে সে ব্যাপারে নিশ্চিত প্রশাসন। সুতরাং প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কপালেও এবার চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠকে মাস্ক সংক্রান্ত নির্দেশ নির্দেশ ছাড়াও বাংলার আইন-শৃঙ্খলা, পূজো পরিচালনা এবং বিসর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী ফোনের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দিয়ে জানান, পুজোর সময় যাতে করোনা আক্রান্ত হলে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের বেড এবং সমস্ত রকম সাহায্য যাতে মানুষ পায়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে হবে। তবে মাস্ক পড়া যে বাধ্যতামূলক সেকথা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবং মাস্ক নিষেধাজ্ঞা যদি কেউ না মানেন, তাহলে তাঁকে মুখোমুখি হতে হবে প্রশাসনিক শাস্তির বলে জানা গেছে। আপাতত মাস্ক অভিযান এখন অব্যাহত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। পূজার মধ্যেও মার্কিন নাগরিকদের প্রতি পুলিশ কঠোর মনোভাব দেখাবে। তবে পুলিশ প্রথমে মাস্কবিহীন যারা তাঁদেরকে সতর্ক করবে। কথা না শুনলে তাঁদেরকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানা গিয়েছে। কারো সঙ্গে যদি মাস্ক না থাকে, তাহলে স্থানীয় ক্লাব বা পুজো সংগঠকরা মাস্কের ব্যবস্থা করবে। তবে এত কিছু করেও করোনাকে ঠেকানো যাবে কিনা সে ব্যাপারে কিন্তু চরম সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে আরো একবার করণা ভয়াবহতা দেখা যাবে রাজ্যজুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!