এই মুহূর্তে করোনার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে সারা বিশ্বকে। বিশ্বজুড়ে মাত্রাছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে 30 লাখ। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ক্রমাগত চেষ্টা করে চলেছেন করোনার এই মারণ হানা থামানোর। তার জন্য প্রয়োজন প্রতিষেধক এবং ওষুধের। বিশ্বের বিভিন্ন কোণে তাবড় তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার বিরুদ্ধে প্রতিষেধক জোগাড় করার।

আমরা জানি, 100 বছর আগেও এরকম এক মারণ ভাইরাস পৃথিবীতে আক্রমণ চালিয়ে গেছে, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞানের কাছে হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। একই সঙ্গে আশা – এবারেও এই মারণ ভাইরাসের হানা থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে বিজ্ঞানই শেষ হাসি হাসবে। কিন্তু তার মধ্যেই অবাক হয়ে যেতে হচ্ছে, কিছু জ্যোতিষকর্তার বক্তব্য শুনে। এ প্রসঙ্গে এবার জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কয়েকজন জ্যোতিষাচার্য হাস্যকর দাবি করেছেন। তাঁদের মতে কালসর্প যোগের কারণেই পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছে এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি!

তাঁদের মতে 2019 এবং 2020 সালে যে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল, সে সময় কালসর্প দোষ এসে বসে পৃথিবীর উপর। আর তারপর থেকেই করোনার আধিপত্য শুরু হয়েছে পৃথিবী জুড়ে! এখানেই শেষ নয়! এইসব জ্যোতিষাচার্যরা আবার দাবি জানিয়েছেন দিনক্ষণ সময় দিয়ে, যে তারপরে কালসাপ তার অন্য রাস্তা দেখবে এবং করোনা পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। তাঁদের দাবী অনুযায়ী, আগামী একুশে জুন 2020 ভোর ছটা 41 মিনিট 15 সেকেন্ডে সূর্য গ্রহণ হবে এবং তারপরেই করোনা থেকে মুক্তি মিলবে পৃথিবীবাসীর!

যদিও এইসব জ্যোতিষাচার্যরা কেন আগে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে করোনার আবির্ভাব বুঝতে পেরে বিশ্ববাসীকে সাবধান করে দিলেন না – সেই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য নীরবই থেকে গেছেন! এই ভ্রান্ত চিন্তাধারাকে উড়িয়ে দিয়ে অবশ্য এই মুহুর্তে বিজ্ঞানের উপরেই ভরসা করছেন ধনী-দরিদ্র শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সবাই। করোনা থেকে বাঁচতে গিয়ে এই মুহূর্তে প্রত্যেকে মেনে চলছেন সামাজিক দূরত্ব। তাই মনে করা হচ্ছে, মানবজাতির রক্ষার্থে কোন জ্যোতিষবিদ নয়, শুধুমাত্র বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ধারক-বাহকরাই পৃথিবীকে করোনা থেকে মুক্তি দিতে পারবেন। আর বিজ্ঞানের সেই শুভলগ্নের দিকেই এখন ছাতক পাখির মত চেয়ে আছে বিশ্ববাসী।