করোনা টেস্ট নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের! জেনে নিন! কলকাতা রাজ্য April 20, 2020 করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, প্রথম পর্যায়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সকলেই। বিরোধিতাকে দূরে সরিয়ে রেখে বামড় বিজেপি, কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে সরকারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যত কঠিন হয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যেখানে তাদের প্রধান আপত্তির কারণ ছিল, রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্ট হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। তবে টেস্ট হলেই যে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে, একথা বারবার বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যে রাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের রূপরেখা তৈরি করল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ব্যাপারে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে এই টেস্টকে কেন্দ্র করে যাতে অন্যান্যদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য জানানো হয়েছে, যাদের টেস্ট হবে, সাথে সাথেই তাদের ফল জানানো হবে না। অর্থাৎ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর চাইছে, একদিকে টেস্ট করে এই সমস্যার সমাধান করতে এবং অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে যাতে আতঙ্ক তৈরি না হয়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। আর তাই টেস্টের ফল সাথে সাথেই না জানানোর মত সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বলে মনে করছে একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে এই টেস্টের জন্য 50 হাজার কিট চেয়েছে রাজ্য। যার মধ্যে তারা 10000 পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত কিটের অভাবে রাপিড টেস্টের আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি নেওয়া যে বাধ্যতামূলক, তা নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গেছে, রাজ্যের মোট 28 টি জেলার 14 টি মেডিকেল কলেজ এই পরীক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলড স্যাম্পেল পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাজ্যের এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু কি এই পুলড স্যাম্পেল টেস্ট? জানা গেছে, আরটিপিসিআরে পাচটি লালারসের নমুনাকে একসঙ্গে পরীক্ষা করাই হল এই প্রক্রিয়া। এর ফলে একটি রিএজেন্ট খরচ করে পাঁচজনের পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে এসএসকেএমের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান রাজা রায় বলেন, “একটি পুলে নমুনা পজেটিভ হলে আলাদাভাবে পরীক্ষা করতে হবে প্রত্যেকের। যেখানে নেগেটিভ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে সময় ও খরচ বাঁচাতে এই পরীক্ষা চলতে পারে।” এদিকে এই ব্যাপারে নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, “একসঙ্গে তিনটি নমুনা বসিয়ে দেখা গিয়েছে একটা পজিটিভ এলে পুলের বাকি দুটি নমুনা ফলস নেগেটিভ দেখাচ্ছে। তাই পুলড স্যাম্পেল পরীক্ষা সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সকলের দাবি যে, রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাপিড টেস্ট হচ্ছে না। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে স্থির রূপরেখা তৈরি করে দেওয়ায়, সেই রাপিড টেস্ট কতটা সুচারুভাবে হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -