এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা বিধি উড়িয়েই তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের তুমুল বিক্ষোভ! বিধায়কের বিরুদ্ধেই নালিশ মন্ত্রীকে

করোনা বিধি উড়িয়েই তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের তুমুল বিক্ষোভ! বিধায়কের বিরুদ্ধেই নালিশ মন্ত্রীকে


করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি করাতে বিধি-নিষেধ জারী করা হয়েছে। কিন্তু এবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ শাসক দলকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিল। যেখানে বিক্ষোভকারীরা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানালেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন সামাজিক দূরত্ব ভঙ্গ হল, ঠিক তেমনই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোয় শাসকদলের অস্বস্তি বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, এদিন দুপুর একটার সময় একদল লোক তৃণমূল এবং আইএনটিটিইউসির পতাকা হাতে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি শাখা “অনাময়” হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু কী কারণে হঠাৎ এই বিক্ষোভ? বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, গত 25 মার্চ এই হাসপাতালে কাজ করার সময় উত্তম দে নামে এক কর্মীর মৃত্যু হয়। আর তাই উত্তমবাবুর বড় ভাইকে কাজে নেওয়ার দাবিতেই এই বিক্ষোভ জানানো হয়।

এদিকে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একদিকে করোনা আতঙ্ক তার মধ্যে হাসপাতালে রোগী থাকার সময় এত লোকের বিক্ষোভ রীতিমত বিরক্তির কারণ হয় চিকিৎসকদের কাছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে হাসপাতালে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ সরকারি অনুষ্ঠান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সামনে দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এই কর্মী-সমর্থকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তারা মূল অভিযোগ করেন, বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিকের দিকে। আর সরকারি অনুষ্ঠানে এত মানুষ বিক্ষোভ দেখানোয় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পরিস্থিতি সামলাতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে স্বপন দেবনাথ বলেন, “সব কথা শুনব। কিন্তু এভাবে অভিযোগ করতে এসেছেন কেন?” কিন্তু যেভাবে বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, তাতে কি সেই তৃণমূল বিধায়ক চাপে পড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে অবশ্য বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, “নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো ভূমিকা নেই।”

আর একদিকে বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ, আর অন্যদিকে মূল অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের দিকে থাকায় দুদিক থেকেই শাসকদল চরম বিপাকে পড়ল। যার ফলে একদিকে যেমন সামাজিক দূরত্ব লংঘন হল, ঠিক তেমনই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভে শাসকদলের অস্বস্তি অনেকটা বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এই বিক্ষোভকারীরা তাদের সংগঠনের কেউ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পাপ্পু আহমেদ। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, গোটা ঘটনায় তৃণমূলের অস্বস্তি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!