এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনায় মানুষের পাশে থাকতে মমতার বার্তাই সার, আর্থিক অনুদান পেয়ে নিজেদের উন্নতিতে ব্যস্ত ক্লাব!

করোনায় মানুষের পাশে থাকতে মমতার বার্তাই সার, আর্থিক অনুদান পেয়ে নিজেদের উন্নতিতে ব্যস্ত ক্লাব!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ক্ষমতায় আসার পরেই ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা সময় বিতর্ক তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ক্লাবগুলোর মধ্যে দিয়ে ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী তৈরি করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও বা রাজ্যের শাসক দল বিরোধীদের অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছে।

তাদের দাবি, স্থানীয় পরিবেশের উন্নতি সাধনে ক্লাবগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই সেই ক্লাবের পাশে দাঁড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পেছনে একদিকে যেমন মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা দিকে নজর দেওয়ার জন্যই যে সরকারের এই উদ্যোগ, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

বর্তমান সময় করোনা ভাইরাস যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন ক্লাবগুলো যাতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে, তার জন্য তাদের বার্তা দিয়েছে সরকার। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান নিজেদের ক্লাবের উন্নতি করতেই ব্যস্ত বেশকিছু ক্লাব। বস্তুত, সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান পেয়ে ফিক্স ডিপোজিট করে কখনও ক্লাব ঘর তৈরিতে, আবার কখনও বা জিমের সরঞ্জাম কিনতেই ব্যস্ত কলকাতার অধিকাংশ ক্লাব। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্লাবের নামে টাকা আসলেও, বাস্তবে সেই ক্লাবের অস্তিত্ব নেই বলেই জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার জেরে শাসকদলের কথা অনুযায়ী, বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য করলেও, বাস্তবে যে সেই বৃহত্তর উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে না, তা একপ্রকার পরিষ্কার। প্রসঙ্গত, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সময় ক্লাবগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার শৃঙ্খলা, শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি মানুষ বিপদে পড়লে যাতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের পাশে দাঁড়ায়, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্লাবের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল, তারা অনেকেই নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করতেই ব্যস্ত।

এদিন এই প্রসঙ্গে নবপল্লী ক্লাবের এক কর্তা বলেন, “যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা তো কবেই শেষ। ক্লাবটাকে সুন্দর করা হয়েছে। চার বছর পিকনিক করেছি।” অন্যদিকে দাসপাড়া প্রভাতী সংঘের ক্লাবকর্তা সঞ্জয় নায়েক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানের টাকায় ক্লাবে দোতলা করা হয়েছে। করোনায় কিছু করার মত অবশিষ্ট নেই।” অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাতে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করেই তা কার্যত শেষ করে দিয়েছেন বিভিন্ন ক্লাবের কর্তারা।

আর সেই কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সাহায্য করার বার্তা দেওয়া হলেও, তাদের কাছে যে অর্থ নেই, তা জানিয়ে দিচ্ছে সেই সমস্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হলেও, আদতে লাভের লাভ কতটা হল, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের উদ্দেশ্য মহৎ হলেও, ক্লাবগুলো যে সেই মহৎ উদ্দেশ্যে পা বাড়াচ্ছে না, তা একপ্রকার পরিষ্কার। যার কারণে অবিলম্বে ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!