প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই সারা বিশ্ব জুড়ে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে অবশ্য বহু দেশ এখনও লকডাউন পালন করে চলেছে যার মধ্যে ভারত অন্যতম। অন্যদিকে ভারতেও যেভাবে নিত্যদিন করোনা নতুন করে রেকর্ড তৈরি করছে তা রীতিমত আতঙ্কিত করে তুলেছে দেশের জনগণকে। আর এই পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়েছেন, এটা এই মুহূর্তে বলার অপেক্ষা রাখেনা বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে করোনা আবহের মধ্যেই সাধারণ মানুষের মনে এই মুহূর্তে একটাই প্রশ্ন, কবে এই করোনার মরণ কামড় কমবে? অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশার কোন আলোই দেখাতে পারছে না বলে জানা গেছে। উল্টে হু জানিয়েছে, আগামীদিনে করোনার প্রকোপ আরও মারাত্মক আকারে পৃথিবীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্তা অ্যাডহানম ঘেব্রেইয়েসাস ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র গত বৃহস্পতিবারের করোনার নিরিখে প্রায় দেড় লাখ মানুষ সারা বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নতুন করে।

যদিও এই সংখ্যার প্রায় অর্ধেক আমেরিকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়াতেও করোনা তার দাপট দেখিয়ে চলেছে অবিরাম। তাই এই মুহূর্তে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। এদিন হু’র কর্তা আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ যেভাবে লকডাউন পালন করে চলেছে তাতে হয়তো বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য লকডাউন তুলে নেওয়ার দিকে অনেক দেশ।

কিন্তু পরিস্থিতি তাতে আরও মারাত্মক হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। এবং সাথে এও বলেছেন, বর্তমান সময়ের আরো বেশি সতর্কতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করে চলা প্রয়োজন। অন্যদিকে হু’র প্রযুক্তি বিভাগের কর্ণধার মারিয়া ভ্যান জানিয়েছেন, করোনা মহামারী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে তীব্রগতিতে। যদিও এই মুহূর্তে বেশ কিছু দেশ সামলাতে পেরেছে করোনাকে বলে মনে করা হচ্ছে, কিন্তু এখনো বিশ্বের সমস্ত দেশ পুরোপুরি করোনা মুক্ত নয়। প্রায় প্রতিটি দেশকে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য রীতিমতো প্রস্তুত থাকতে হবে আগামীদিনে।

আতঙ্ক আরো জাগিয়ে হু’র হেলথ এমার্জেন্সি প্রোগ্রামের অধিকর্তা মাইক রায়ান জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমণ সামলানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কারণ, খুব সম্ভবত আর কয়েক মাসের মধ্যেই করোনা আরো বিপুল বেগে সংক্রমণ ছড়াবে পৃথিবীর বুকে। যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা হচ্ছে, তা কিন্তু ঠিক নয়। তবে একটাই আসার খবর, এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রতিটি কোণায় চলছে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা।

বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনাকে হারানোর জন্য। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে যেভাবে প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন কোণে সমস্ত দেশ উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে যে কোন মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া মোটেই আশ্চর্যজনক নয়। কিন্তু যতদিন না হাতে হাতে প্রতিষেধক এসে পৌঁছাচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি ঘরে, ততদিন পর্যন্ত সাবধানতা এবং সর্তকতাকে অবলম্বন করেই আগামী দিন কাটাতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।