করোনার কঠিন সময়ে এবার আম আদমির অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কেন্দ্রের ৬ হাজার করে, ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা জাতীয় রাজনীতি রাজ্য May 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক বছর আগে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে যেভাবে লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছিল গোটা দেশ, আবার তার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বর্তমান সময়ে। প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্র। প্রথমদিকে কোনোভাবেই লকডাউন করা হবে না বলে দাবি করা হলেও, বর্তমানে সেই রাস্তাই বেছে নিতে হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে। সামগ্রিকভাবে ভারতবর্ষকে লকডাউনের মোড়কে না বাধা হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস আটকাতে নিজেদের রাজ্যে আংশিক লকডাউন বা কার্যত লকডাউনের পথেই হেটেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গরিব-দুঃখী দিনআনা-দিন খাওয়া মানুষেরা কিভাবে জীবন যাপন করবেন, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। আর এই অবস্থায় এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে কর্মহীন মানুষদের হাতে যাতে বিনামূল্যে খাবার এবং মাসে 6000 টাকা দেওয়া যায়, তার জন্য আবেদন করলেন বাংলার কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর অধীরবাবুর পাঠানো এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সোনিয়া গান্ধী এই ব্যাপারে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে একটি নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই মত করেই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন অধীর চৌধুরী। যেখানে তিনি লেখেন, “কর্মহীন মানুষদের হাতে মাসে সরাসরি 6000 টাকা এবং বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হোক। সরকার এই আর্থিক সাহায্যের উদ্যোগ গ্রহণ করলে ওই গরিব পরিবারগুলো শুধু উপকৃত হবে না। দেশের অর্থনীতিও লাভবান হবে।” আর বর্তমান পরিস্থিতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠি যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ সহ প্রায় কমবেশি প্রতিটি রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথে হেটেছে। বাজার দোকানপাট সীমিত সময়ের জন্য খোলা, আবার কোথাও বা তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিশেষত গরীব মানুষরা কিভাবে দিনযাপন করবেন, সেটা নিয়ে সংশয়ের আবহ তৈরি হয়েছে। এক বছর আগে এই লকডাউনের কারণে গরিব মানুষ সহ দেশের অর্থনীতি কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। তাই সেই ঘটনা যাতে, আর না ঘটে গরীব মানুষরা যাতে খেয়ে বাঁচতে পারে, তার জন্য মাসে তাদের 6000 টাকা এবং আহারের জন্য ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একাংশ বলছেন, এর ফলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বা কংগ্রেস নেতৃত্ব মানুষের জন্য তারা ঠিক কতটা ভাবে, সেই বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করল। তবে লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেও কি এই ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করবে কেন্দ্রীয় সরকার? এখন সেটা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিনের যোগান থেকে শুরু করে অক্সিজেনের আকাল মেটাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাই এই পরিস্থিতিতে করোনাকে আটকাতে বিভিন্ন রাজ্য লকডাউনের রাস্তায় হাঁটলেও, সেক্ষেত্রে গরিব মানুষদের মাসে মাসে 6000 টাকা এবং আহার দেওয়া কতটা সম্ভব হবে কেন্দ্রের পক্ষে, তা যথেষ্ট সংশয়ের বিষয়। তবে যদি সত্যি সত্যিই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষদের কথা ভেবে তাদের ন্যূনতম সাহায্য করে, তাহলে তা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনহিতকর সিদ্ধান্ত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অধীর চৌধুরীর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কি জানান প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -