এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার প্রতিষেধকের মূল্য নির্ধারণ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার, ব্যাপক জল্পনা শুরু

করোনার প্রতিষেধকের মূল্য নির্ধারণ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার, ব্যাপক জল্পনা শুরু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিন বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গতবছরের স্মৃতি আবার ফিরে আসছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করেছে আবার কয়েকটি রাজ্য নাইট কারফিউ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে উঠে এসেছে প্রতিষেধক এর আকাল। একই সাথে অক্সিজেন নিয়েও শুরু হয়েছে টানাটানি। বিভিন্ন রাজ্যে যখন ভ্যাকসিনের ব্যাপক আকাল দেখা যাচ্ছে, সেসময় এদেশের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট টিকার মূল্য নির্ধারণ করে দিল। বিশেষজ্ঞরা করোনা কালের প্রথম থেকেই সংক্রমণ আটকাতে মাস্ক, স্যানিটাইজারের পাশাপাশি নিদান দিয়েছেন টিকাকরণের।

কিন্তু বাস্তবে সেই টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে এবং এই অনিশয়তায় লেগেছে রাজনীতির রং। তবে গতবারই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এবার থেকে প্রত্যেকটি রাজ্য সরাসরি টিকা উৎপাদন সংস্থার কাছ থেকে প্রতিষেধক কিনে নিতে পারব। সেক্ষেত্রে মোট উৎপাদিত ভ্যাকসিনের 50% কেন্দ্রীয় সরকার পাবে এবং বাকি 50% রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে সরবরাহ করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে টিকার দাম কত হবে, তা সমস্ত পক্ষ মিলে আলোচনা করবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই অনুযায়ী এবার থেকে কোভিশিল্ড টিকার প্রতি ডোজের দাম বাড়ালো সেরাম ইনস্টিটিউট। তাঁদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যকে 400 টাকায় এক ডোজ টিকা বিক্রি করবে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। কিন্তু কেন্দ্রকে আবার এই টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট বিক্রি করবে দেড়শ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালকে 600 টাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশি টিকার ক্ষেত্রে একটি ডোজের দাম এর থেকে অনেক বেশি।

এই টিকা সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশি টিকার দাম ডোজ প্রতি 750 থেকে 1500 টাকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই পুনের এই ইনস্টিটিউট করোনার প্রতিষেধকের দাম নির্ধারণ করা হয়। এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষেত্রে টিকার দামের ফারাক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় রাজ্যগুলি কি সিদ্ধান্ত নেবে সেদিকেই সবার নজর। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের আশংকা, করোনার সুযোগে এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলো প্রতিষেধকের দামের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বোঝা না চাপিয়ে দেয় রোগীদের ঘাড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!