এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনার ত্রাণেও অমানবিকতা পাকিস্তানে, নিন্দার ঝড়, সাথেই সাহায্য প্রার্থনা

করোনার ত্রাণেও অমানবিকতা পাকিস্তানে, নিন্দার ঝড়, সাথেই সাহায্য প্রার্থনা


করোনা ভাইরাস এই মুহূর্তে এক প্রবল আতঙ্কের নাম। বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু থেকে করোনা ভাইরাসকে প্যানডেমিক বা মহামারী বলে ঘোষণা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই মৃত্যু মিছিল কবে থামবে তা বোধ হয় কারোরই জানা নেই। তবে করোনার হাত থেকে বাঁচতে এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। এই মুহূর্তে বিশ্বজোড়া মৃত্যু মিছিল থামাতে লকডাউন ছাড়া অন্য কোন পথ নেই বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে সাধারণ মানুষকে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সাথে পাকিস্তানেও ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। অবস্থা সামাল দিতে  সেখানেও চলছে লকডাউন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সমস্ত কাজ। যার ফলে গরিব মানুষদের সমস্যা হয়েছে সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই গরিবদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে সেখানকার সরকার অর্থাৎ রেশনের ব্যবস্থা করেছে।

এবং এই রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রেও জাতপাতের কোন বিষয়কে ধর্তব্যের মধ্যেই ধরা হচ্ছেনা। বলা যায়, প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে মানবিক হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও পাকিস্তান নিজের স্বভাবকে ছাড়তে পারেনি। বাংলার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের গরিব মানুষদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও জাতের বিচার করা হচ্ছে। পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের কোন রকম সাহায্য করা হচ্ছেনা। তাদেরকে রেশনিং ব্যবস্থা থেকেও দূরে রাখা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলস্বরূপ না খেতে পেয়ে তাঁরা মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানের একজন সমাজসেবী আমজাদ আইয়ুব মির্জা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেছেন, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের বাঁচানোর জন্য। প্রয়োজনে সিন্ধু প্রদেশ দিয়ে যেন ত্রাণ পাঠানো হয়। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের সিন্ধুতে এই মুহূর্তে চলছে লকডাউন। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রচুর গরীব মানুষ। এই অবস্থায় সরকার থেকে গরীবদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হচ্ছে। সেরকমই রবিবার করাচি এলাকায় রেশন নেওয়ার জন্য জড়ো হন এলাকার গরীব মানুষরা।

কিন্তু যারা এই রেশন বিলি করছিল তাঁরা দাবি করে, এই রেশন দেওয়া হবে শুধুমাত্র মুসলমানদের। কোন হিন্দু অধিকারী হবেন না এই রেশনের। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সমাজসেবী আমজাদ আয়ুব মির্জা বলেছেন, ‘শুধু করাচিতেই নয় সিন্ধুপ্রদেশের সব জায়গাতেই একই ঘটনা ঘটছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হলেও হিন্দুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকী তাঁদের চিকিত্‍সাও করা হচ্ছে না। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন রাখছি, আপনি এই বিষয়টির দিকে নজর দিন। এবং রাজস্থানের পথে সিন্ধুপ্রদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের জন্য খাবার পাঠান। না হলে এখানে বসবাসকারী হিন্দুদের জীবন বাঁচানো যাবে না।’

আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা। যেখানে সারা বিশ্ব এই মুহূর্তে মানবিক হয়ে উঠেছে, সেখানে পাকিস্তান এখনো পর্যন্ত জাতের নামে কার্যকলাপ করে চলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনায় যথেষ্ট চিন্তা প্রকাশ করেছেন পাকিস্থানে বসবাসকারী হিন্দদের জন্য। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখা হয়েছে পাকিস্তানি সমাজসেবীর কাছ থেকে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সে দিকেই এখন তাকিয়ে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!