এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভায় তৃণমূল সিপিএম ও কংগ্রেসের সাথে জোট বাঁধলে আদতে কতটা লাভ হবে, নাকি ফায়দা তুলতে বিজেপি!

বিধানসভায় তৃণমূল সিপিএম ও কংগ্রেসের সাথে জোট বাঁধলে আদতে কতটা লাভ হবে, নাকি ফায়দা তুলতে বিজেপি!


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল মোটে 22 টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি তাদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে 18 করে নিয়েছে। আর রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের এই উত্থানে এখন রীতিমতো তটস্থ ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, বাম এবং কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির দিকে চলে যাওয়াতেই রাজ্যে বিজেপির এই উত্থান ঘটেছে।

অন্যদিকে পাল্টা কংগ্রেস এবং বামেদের দাবি, রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পেছনে তৃণমূলই দায়ী। তোষনের রাজনীতিই তাদের পতনের কারণ। আর এই পরিস্থিতিতে কোনো তরজায় না গিয়ে সামনের 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাতে বাংলার ক্ষমতা তাদের দখলেই থাকে, তার জন্য এবার কংগ্রেস এবং বামেদের পাশে পেতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে কংগ্রেসের দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বামেদের সুজন চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেশের সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকলে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হন।” কিন্তু বাম এবং কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এহেন প্রস্তাব দিলেও আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবনের নেতাদের দাবি, একসময় রাজ্যে এই বাম এবং কংগ্রেসের বিধায়কদেরই নিজেদের দলে টেনে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বিজেপির উত্থানে তিনি আতঙ্কিত হয়ে তাদেরকে পাশে চাইছেন। তাই কেন্দ্রের বিজেপি আর রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

অন্যদিকে একাংশের আবার দাবি, রাজ্যে বর্তমানে কোনঠাসা হিসাবে পরিণত হয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে উঠে আসতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাবে তারা সম্মতি দিতেও পারে। যদিও তারপরে তৃণমূল সরকার দাবি করেন যে,নেত্রী জোটের কথা বলেননি। তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাঁর কথার ভুল মানে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আর এর সাথে জড়িত আছে সংবাদমাধ্যমও। আর এই কারণেই দৈনিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিকে নোটিসও পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু এদিকে এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে যদি এমন কোনো জোট হয় যেখানে তৃণমূল ,সিপিআইএম, ও কংগ্রেস একদিকে আর বিপক্ষে বিজেপি ,তাহলে ফায়দা কাদের? জোটের না বিজেপির ? কি হবে তা ভবিষ্যতই বলবে। তবে যদি বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলের সঙ্গে বাম এবং কংগ্রেসের জোট হয়, তাহলে সত্যিই কি এই ব্যাপারে তৃণমূলের লাভ হবে! না কি ফায়দা তুলবে বিজেপি! এখন তা নিয়েই চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বাম বিরোধীতার মধ্যে দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম। ফলে সেই সিপিএম অর্থাৎ বামেদের সঙ্গে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট করেন, তাহলে তৃণমূলের অনেকেই তা মানতে পারবেন না। যার জেরে ঘাসফুল শিবিরের পুরনো কর্মীরা বিজেপির দিকে চলে যেতে পারে। ফলে এতে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে পারে তৃণমূল।এছাড়া কংগ্রেস ও সিপিআইএম এরও তেমন লাভ হবে না,কেনান তারা বরাবর তৃণমূলের বিরুদ্ধেই কথা বলে এসেছেন।

অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের পর সাধারণ মানুষ এখন গেরুয়া শিবিরের প্রতি মজে রয়েছেন। ফলে যদি অতীতের সেই বাম এবং কংগ্রেসের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আটকানোর জন্য জোটের কথা বলেন, তাহলে বিজেপি পৃথকভাবে আন্দোলন করে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নেবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে বিজেপি। আদৌ সেই জোট হবে কিনা তা বিচার্য বিষয়। কিন্তু যদি সেই জোট হয় তাহলে তৃণমূল যে ভাঙতে শুরু করবে এবং বিজেপিতে যে তৃণমূলের সেই পুরোনো কর্মী সমর্থকরা নাম লেখাবেন সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য অনুযায়ী রাজ্যে পরিবর্তনের পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তবে কি হয়, আদৌ বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট সম্ভব হয় কিনা! আর তার জেরে গেরুয়া শিবিরের উত্থান রোখা যায় কিনা, সে নিয়েই কল্পনার জল্পনায় মত্ত বাঙালির জীবন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!