এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনের মাঝে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! ঘুম উড়েছে পুলিশের!

লকডাউনের মাঝে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! ঘুম উড়েছে পুলিশের!

করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ এমনিতেই দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে। অর্থনীতির টানাপোড়েনের মধ্যেই মানুষ নিজেদের কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে। বিশেষজ্ঞরা ইতিপূর্বে জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার কারণে বেশ কিছু মানুষ তাঁদের রুটি রোজগার হারাবেন। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এবার নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য সাফল্যমন্ডিত করার কাজে নেমে পড়েছে বেশ কিছু প্রতারক গোষ্ঠী। এই প্রতারক গোষ্ঠী টোপ দিচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর এবং কাজ হারানোর আশংকায় ভোগা সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তাদের টোপে পা দিচ্ছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের সাইবার সেলে এই ধরনের প্রতারক চক্রের হাতে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানোর একাধিক অভিযোগ জমা হয়েছে। সূত্রের খবর ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর লিংক পাঠিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। পুলিশের সন্দেহ, এই প্রতারণা চক্রের সাথে বাইরের রাজ্যের বেশ কিছু প্রতারক গোষ্ঠীও যুক্ত থাকতে পারে। দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে প্রথম থেকেই বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর সুবিধা দিয়েছে।

এবং ক্রমে তা যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে কর্মী মহলে। অন্যদিকে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে লকডাউন এর প্রাক্কালে সাইবার-অপরাধীরাও বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। সাইবার সেলের তদন্তকারী অফিসারদের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, কাজের জন্য বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির নাম করে সাধারণ জনগণের কাছে ফোন যাচ্ছে এবং ফোনের মাধ্যমেই নিয়োগ সংক্রান্ত অনলাইন ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে মোটা মাইনের টোপ দেখানো হচ্ছে।

কাজের আশায় সাধারণ জনগণ যখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাছে প্রসেসিং ফি বাবদ টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এরপর একটি লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে সাইবার অপরাধীদের পক্ষ থেকে এবং সেই লিংকে ক্লিক করলেই চাকরির জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে। সেখান থেকেই ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য উঠে যাচ্ছে প্রতারকদের নোটবুকে। তারপর যথারীতি ব্যাংক থেকে আচমকা হাওয়া হয়ে যাচ্ছে গচ্ছিত অর্থ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ব্যাংকের পক্ষ থেকে যখন গ্রাহকদের মোবাইলে মেসেজ যাচ্ছে, তখন তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই মাথা চাপড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে বাঁকুড়া, বীরভূম সহ একাধিক জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে বলে খবর। কলকাতা ও তার আশেপাশের জেলাগুলিতেও একইভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারকচক্র বলে জানা গেছে। পুলিশের তদন্তে আবার উঠে এসেছে অন্য তথ্য। দেখা যাচ্ছে, যাবতীয় ফোন আসছে  আসানসোল ঝাড়খন্ড সীমানা লাগোয়া এলাকা থেকে।

ওই এলাকা থেকেই ভুয়ো নামে সিম তোলা হচ্ছে এবং সেই সিম ব্যবহার করে এই বিশাল বড় প্রতারণার জাল বোনা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার সাধারণ মানুষদের সাবধান করা হচ্ছে এ ধরনের প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরবর্তীকালেও এই ধরনের প্রতারণা চক্র আরো সক্রিয় হয়ে উঠবে। তাই সাধারণ মানুষকে অতিমাত্রায় সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। কোনোভাবে এই প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দিলে হতে হবে সম্পূর্ণরূপে নিঃস্ব।

তখন আর কিছুই করার থাকবে না। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। আপাতত রাজ্যের সাইবার সেলের অফিসাররা দাবি করেছেন, বর্তমান প্রতারণা চক্রটির পেছনে ঝাড়খণ্ডের কোনো গ‍্যাঙের হাত থাকতে পারে। তাই তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত যাঁরা এই প্রতারণা চক্রের হাতে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন, তাঁদের কাছে এইমুহুর্তে পুলিশি তদন্তের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!