এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কি হলো স্যাটে আজ বহু প্রতীক্ষিত ডিএ মামলায়? জেনে নিন বিস্তারিত

কি হলো স্যাটে আজ বহু প্রতীক্ষিত ডিএ মামলায়? জেনে নিন বিস্তারিত

আমরা আজ সকালেই জানিয়েছিলাম – যে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও সরকারি অনুদান প্রাপ্ত কর্মীরা অদম্য কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছেন কি করেন স্যাটের বিচারপতিরা – সেদিকেই। সেই রিপোর্টেই আজকের সাম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে জানিয়েছিলাম দুটি সম্ভাবনার কথা।

প্রথমত, গত ৩১ শে আগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট যে ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল যে ডিএ কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পরে এবং এই ডিএর হার কি হবে বা তা বছরে কবার করে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্যাট – সেই রায়কে মান্যতা দিয়ে, আর রাজ্য সরকারকে কোন সময় নয়। উল্টে, রায় ঘোষণা বা রায়দানের জন্য দিন ঘোষণা।

আর, দ্বিতীয়ত, পুনরায় ৬ ই ডিসেম্বরের মত রাজ্য সরকারের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ হয়ে আজও জানিয়ে দেওয়া যেহেতু, রাজ্য সরকার এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে এবং সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে – কিন্তু, শুনানি হয় নি। তাই, কলকাতা হাইকোর্টের শুনানির জন্য অপেক্ষা করা।

আশা-আশঙ্কার দোলাচলে দুলতে থাকা সরকারি কর্মচারীদের হতাশ করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাট শেষ পর্যন্ত ‘আশঙ্কার’ দ্বিতীয় পন্থাই বেছে নিল। আজকের শুনানির শেষে স্যাট জানিয়ে দিয়েছে – রাজ্য সরকারের করা রিভিউ পিটিশন যেহেতু আদালত গ্রহণ করেছে এবং তা নিয়ে এখনো কোনো নির্দেশ দেয় নি – তাই কলকাতা হাইকোর্টের এই নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জেনে স্যাটের পক্ষে এই মামলার রায়দান সম্ভব নয়।

আর, তাই এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আগামী ২৪ শে জানুয়ারী, ২০১৯-এর দিন নির্ধারণ করেছে স্যাট। যদি তার মধ্যেও কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হয় তাহলে কি হবে? তাহলে কি স্যাটে আরও পিছিয়ে যাবে রায়দান? এই প্রসঙ্গে জানতে আমরা অন্যতম মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশনের অন্যতম শীর্ষনেতা সুবীর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুবীরবাবু জানান, স্যাটের আজকের সিদ্ধান্তের পর – আপনার আশঙ্কা অমূলক নয়। কেননা ‘টেকনিক্যালি’ আজ রায়দান হতেই পারত। কেননা, স্যাট রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিল ১৯ শে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নিয়ে আসুন। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্ট কি কোনো নির্দেশ দিয়েছে? আদালত কি স্যাটকে জানিয়েছে – আমরা মামলা গ্রহণ করেছি, তাই আমাদের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই মালয় রায়দান করা যাবে না!

সুবীরবাবুর আরও বক্তব্য, কিন্তু স্যাটের বিচারপতিরা মনে করেছেন আদালত যেহেতু পিটিশন গ্রহণ করেছে – তাই হয়ত, আরেকটু সময় নিয়ে দেখে নিতে চাইছেন। কেননা – রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে এটা স্পষ্ট যে রাজ্য সরকার এই মামলায় হারতে চলেছে। আর তাই, বিভিন্নভাবে সময় নষ্ট বা এই মামলাকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছে! কিন্তু, সময় নিলেও এই মামলায় রাজ্য সরকার বলতে পারবে না আর যে ডিএ সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পরে না।

সুবীরবাবু আরও বলেন, রাজ্য সরকার শুধু বলতে পারে – কি হারে এই ডিএ দেবে। কোন কোন মহল থেকে বলা হচ্ছে – পে-কমিশন ঘোষণা হয়ে গেলে এই ডিএ মামলার কোনও গুরুত্ত্ব থাকবে না – এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। দুটি বিষয়ের মধ্যে কোন সম্পর্কই নেই। কেন্দ্রীয় সরকারীরা যেমন সিপিআই মেনে বছরে দুবার করে ডিএ পায় – এই মামলার রায়দানের পরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য তা সুনিশ্চিত হবে। ফলে, উপকৃত হবেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী।

এরপরেই প্রত্যয়ী সুবীর সাহার বক্তব্য, অনেকেই বলছেন এই বারবার সময় বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। অবশ্যই খারাপ লাগা কিছুটা থাকলেও, হতাশ হওয়ার মত কিছু হয় নি। প্রথম কথা, এই মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাই যে ঠিক এবং তাকে ‘কাউন্টার’ করার মত কোন যুক্তি বা নথি রাজ্য সরকারের হাতে নেই – তা বারবার এই সময় পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টাতেই স্পষ্ট। অর্থাৎ জয় আমাদের হবেই – আজ না হলে কাল।

সুবীরবাবু আরও বলেন, দ্বিতীয়ত, আইন ব্যবস্থার উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং কলকাতা হাইকোর্ট বা স্যাট – সবাই কিন্তু – হাজার-হাজার মামলার মাঝেও এই ডিএ মামলা অত্যন্ত গুরুত্ত্ব দিয়ে টানা শুনানি করছেন। সুতরাং, আমাদের সরকারি কর্মচারী বন্ধুদের অনুরোধ করব – এতদিন অপেক্ষা করেছেন, আর কিছুদিন করুন – আমরা যে পথে চলেছি, সেখানে আমাদের জয় পাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!