এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গো-বলয়ে মহা বিপর্যয়ের পরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহটা কি শুরুই হয়ে গেল?

গো-বলয়ে মহা বিপর্যয়ের পরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহটা কি শুরুই হয়ে গেল?


পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে এখন অনেকটাই বিপর্যস্ত গেরুয়া শিবির। একের পর এক রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর, এবার সেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া দলের কাণ্ডারির বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কাকাড়ে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিজেপি সাংসদ বলেন, “রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে যে এমন ফলাফল হতে চলেছে তা আমি আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে এমনটা হওয়ার কথা ছিল না”।

তাহলে কেন এমনটা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে দলের বর্তমান অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সঞ্জয় কাকাড়ে। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী যে উন্নয়নের ইস্যু তুলে ধরেছিলেন, সম্ভবত এখন তাঁরা সেগুলো ভুলে গেছেন । রাম মন্দির, মূর্তি স্থাপন এবং শহরের নাম পরিবর্তনেই সকলে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এই জন্যই তিন রাজ্যে হার হয়েছে বলে আমার মনে হয়”।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে, এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার বয় বলে পরিচিত, যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মহারাষ্ট্রের এই বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “যোগী আদিত্যনাথ রাম মন্দির, হনুমানের জাত এবং শহরের নাম বদলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমনকি নির্বাচনী সভায় গিয়ে তিনি এইসব কথা বলেছেন”।

রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরপ্রদেশে এই যোগী আদিত্যনাথের তুমুল উত্থানের পেছনে রয়েছে বিজেপির মোদি-শাহ জুটির হাত। তাহলে কি পরোক্ষে আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিই তোপ দাগলেন এই দলীয় সাংসদ? তবে, পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা হারালেও এটাকে পরাজয় হিসেবে দেখতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তেলেঙ্গানায় এই বিরোধী মহাজোট সফলতা না পাওয়ায়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যদিকে, বিরোধী মহাজোটকে নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ দল বলে পরিচিত, বিজেডির ভর্তৃহরি মেহেতাবও। এদিন তিনি বলেন, “কংগ্রেস যদি শক্তিশালী হয়ে ওঠে, আঞ্চলিক দলগুলোর পক্ষে তা মোটেই সুখকর নয়। তাই এরপর কি হচ্ছে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন”। এদিন, বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শিবসেনাও । মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান রাজ ঠাকরে বলেন, “রাহুল গান্ধীকে এতদিন ধরে ‘পাপ্পু’ বলত বিজেপি। এবার বোধহয় আর কেউ রাহুলকে ‘পাপ্পু’ বলার সুযোগ পাবে না। কারণ তিনি প্রত্যেকের পরম পূজনীয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন”।

রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের সাফল্যের কৃতিত্ব যদি শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করেন, তাহলে ব্যর্থতার দায়ও তাঁদেরই নিতে হবে। তাই, দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতে না হতেই, নাম না করলেও, বিজেপির মোদি-শাহ জুটি দলের অন্দরে যে অনেকটাই চাপে পড়তে চলেছেন তা নিঃসন্দেহে বলাই যায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!