স্কাইওয়াকের পাশাপাশি দক্ষিনেশ্বরকে অনন্য উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, জানুন বিস্তারিত নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 10, 2018 দক্ষিণেশ্বরের মন্দির কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়েছে রাজ্যসরকার। প্রবেশপথের যানজট কমাতে স্কাইওয়াক তৈরি করা পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে সৌন্দর্যায়ণের দিকে খেয়াল রেখেই চার রাস্তার মোড়ে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্দিরর প্রতিষ্ঠাতা রাণি রাসমণির ব্রোঞ্জের মূর্তি। চার রাস্তার মোড়ে অবস্থিত গোলাকৃতি আইল্যান্ডটি ভেঙে আগের থেকে ছোট করা হয়েছে। এর মাঝেই নতুন করে বসানো হবে ব্রোঞ্জের মূর্তিটিকে। এর আগে কার্জন পার্কেও রাণি রাসমণির মূর্তি বসানো হয়েছে। তবে সেই মূর্তিতে বয়স্কা রাসমণির মুখের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। তবে দক্ষিণেশ্বরের নতুন মূর্তিটিতে রাখা হবে মধ্যবয়সের রাণি রাসমণির ছাপ। মন্দির তৈরির চিন্তায় নিমগ্ন রয়েছেন তিনি,এমন ধাঁচেই তৈরি করা হবে মূর্তিটিকে। এমনটাই জানালেন কৃষ্ণনগরের ভাস্কর শিল্পী গৌতম পাল। উল্লেখ্য,গৌতম বাবু আগে মন্দির এবং কার্জন পার্কের মূর্তিটি বানিয়েছিলেন। এবার তিনি এবারের মূর্তিটি তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছেন। প্রথমে তিনফুট উচ্চতায় মূর্তি বসানো হবে ঠিক করা হলেও পরে জায়গার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে তা একফুট বাড়িয়ে চার ফুট করা হয়। স্টেশানের দিকে মুখ করেই মন্দিরের প্রবেশ পথে বসানো হবে মূর্তিটিকে। মূর্তিটির পাশাপাশি আইল্যান্ডটিও রং-বেরং এর আলো,গাছ দিয়ে সাজানো হবে। লেখা থাকবে বাংলা,হিন্দি এবং ইংরাজি ভাষায় রাণি রাসমণি দেবীর জন্ম,মৃত্যু এবং জীবন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ প্রসঙ্গে রাজ্যর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বাংলার গর্ব রাণি রাসমণি দক্ষিণেশ্বের মন্দির প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জেলেদের উপরে জলকর বসানোর প্রতিবাদে গঙ্গায় ব্রিটিশদের জাহাজ চলাচল আটকে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি এ দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও অর্জন করেছে। সেকথা মাথায় রেখেই রাণীমাকে শ্রদ্ধা জানাতে মূর্তিটি বসানো হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে দক্ষিণেশ্বরে রাণি রাসমণির একটি শ্বেতপাথরের মূর্তি বসানো হয়। কার্জন পার্কের পুরানো শ্বেতপাথরের মূর্তিটি ভেঙে যাওয়ার কারণে সেটাকে সরিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রায় ৭ ফুট উচ্চতার একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি বসানো হয় ওখানে ২০১২ সালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদ্বোধনে এসেই কার্জন পার্কের মধ্যের ওই অংশের নামকরণ করেন ‘রাণি রাসমণি উদ্যাণ’। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আরো জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরীর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ছবি পেয়ে, সেখান থেকে বাছাই করে মধ্যবয়স্কা রাণি রাসমণির মূর্তি বানানো সিদ্ধান্ত নিলেন ভাস্কর শিল্পী গৌতম পাল। তিনি মূর্তির নির্মান প্রসঙ্গে আরো জানালেন,প্রথমে মাটি দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তার উপর প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে ছাঁচ তৈরি করে,তা ব্যবহার করে বানানো হবে ফাইবারের মূর্তি। এরপর তাতে মোম ঢেলে মোমের মূর্তি বানানো হবে। সেই মূর্তির উপর সুরকি,প্লাস্টার জমিয়ে ছাঁচ তৈরি করার পর সেই ছাঁচকে আগুনে পুরিয়ে শুকনো করা হবে। তারপরই ব্রোঞ্জ গলিয়ে ঢালার পর তৈরি হয়ে সামণে আসবে চারফুটের মধ্যবয়স্কা রাণি রাসমণি দেবীর মূর্তি। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনু্যায়ী মন্দিরের প্রবেশপথের মুখেই দর্শনার্থী এবং পর্যটকরা দেখতে পাবেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাত্রীকে। এমনটাই জানালেন কুশল বাবু। আপনার মতামত জানান -