এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা বিপর্যয়ের জেরে বাংলার চাকুরীজীবি ও চাকরি প্রার্থী – সবার জন্যই বড়সড় দুঃসংবাদ?

করোনা বিপর্যয়ের জেরে বাংলার চাকুরীজীবি ও চাকরি প্রার্থী – সবার জন্যই বড়সড় দুঃসংবাদ?

যত দিন যাচ্ছে, করোনা আতঙ্ক ততই তীব্রতর হয়ে উঠছে। সামাজিক দূরত্ব বাড়িয়ে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে রুখতে গত 24 মার্চ দেশজুড়ে 21 দিনব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকহারে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে লকডাউন। যার ফলে এখানকার সমস্ত স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে।

কিন্তু এর ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুরসভা ভোটের পরেই শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে টেট পরীক্ষা। যার ফলে অনেক চাকরিপ্রার্থীরা আশা করছিলেন নতুন চাকরির। কিন্তু পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ব্যাপক হারে পরিবর্তন হয়ে গেছে করোনা সংক্রমনের প্রাক্কালে। রাজ্যের আর্থিক ভাঁড়ার প্রায় শূন্যের পথে, এই অবস্থায় নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা যে পিছিয়ে যাবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই কারোর।

উচ্চ প্রাথমিকে অবশ্য শিক্ষক নিয়োগ আগেই থমকে ছিল আইনগত কারণে। এবার সেটিও যে অনেক পিছিয়ে গেল, সে কথা অনস্বীকার্য। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা সংক্রমনের আগে। যার মধ্যে ছিল যেসব শিক্ষকরা দূরের জেলায় চাকরি করেন, তাদের নিজেদের জেলায় আনা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষা দপ্তর সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দেয়। কিন্তু এই মুহূর্তে সব কাজই থমকে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, গেস্ট এবং কন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে যেসব অধ্যাপকরা কাজ করেন তাদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারেও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের যে কাজ চলছিল, তাও এই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের ভাঁড়ার পূরণ করতে এই মুহূর্তে সরকারপন্থী ও সরকারবিরোধী সমস্ত সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সামর্থ্য অনুযায়ী দান করছেন। সেই অনুযায়ী বেশ কিছু জায়গায় পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের হাহাকার ফুটে বেরিয়েছে তাঁদের লেখনীতে।

বেশকিছু পোস্টারের তলায় কেউ কেউ লিখে দিয়েছেন, ‘টেট কবে হবে স্যার?’ কিন্তু এই মুহূর্তে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, এই করোনা সংক্রমণ মিটলেও রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি রীতিমত তলানীতে। সেই অবস্থায় নতুন করে চাকরি বা বেতন বৃদ্ধি কোনটাই সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে আরো ক’দিন যে কাটবে, তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞসহ সাধারণ মানুষ। কতদিন চলবে লকডাউন? রুটি-রুজি বন্ধ করে সাধারন মানুষ কতদিন ঘরে বসে থাকবে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!