এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > যৌনপেশা বা মধুচক্র আর অপরাধের মধ্যে পরে না? হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ে শোরগোল গোটা দেশে!

যৌনপেশা বা মধুচক্র আর অপরাধের মধ্যে পরে না? হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ে শোরগোল গোটা দেশে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ক্ষেত্রে তার সম্মতিই যে তার পেশার ক্ষেত্রে সর্বশেষ কথা, সেই কথাকেই স্বীকৃতি দিয়ে কোর্টকে যুগান্তকারী রায় দিতে দেখা গেল। আর তাতেই সম্প্রতি গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গেছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যৌনপেশা আইনের চোখে অপরাধ নয়, এই পেশায় যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না, এমনই কথা বলতে শোনা গেছে বম্বে হাইকোর্টকে। আর এই যুক্তিতে মহারাষ্ট্রের হোমে বন্দি থাকা তিন মহিলা যৌনকর্মীকে মুক্তি দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। যা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে।

কিছুদিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রের মালাড এলাকায় একটি গেস্ট হাউস থেকে তিন মহিলা ও নিজ়ামুদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের খবর অনুযায়ী সেখানে যৌনচক্র চলছিল বলে জানা যায়। এরপর মামলা নিম্ন আদালতে উঠলে, শুনানির সময়ে জানা যায়, ওই তিন মহিলা ‘বেদিয়া’ সম্প্রদায়ভুক্ত। এখানে বলে রাখা দরকার, এই সম্প্রদায়ে নির্দিষ্ট বয়সের পরে মহিলাদের যৌন পেশায় যোগ দিতে পাঠানোর রীতি আছে। ফলত ওই মহিলারা সেই রীতি পালন করছেন বলেই জানায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বিষয়টি সামনে এলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত জানিয়ে দেয় যে, যেহেতু বাবা-মা মেয়েকে যৌন পেশায় যোগ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, তাই এমন মায়ের হাতে মেয়ের দায়িত্ব দেওয়া নিরাপদ নয়। এরপরই আদালত থেকে ওই তিন মহিলাকে এক বছর মহারাষ্ট্রের একটি হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সেই সঙ্গে দায়রা আদালতও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখে বলে জানা যায়।

তবে সেই রায়কে সম্প্রতি খারিজ করেছে বম্বে হাই কোর্ট। বিচারপতি পৃথ্বীরাজ কে চহ্বাণ এদিন তাঁর রায়ের পক্ষে জানিয়েছেন যে, যৌন ব্যবসার কারণে কাউকে নির্যাতন করা হলে বা প্রকাশ্যে যৌন ব্যবসা সংক্রান্ত প্রলোভন দেখানো হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা ঘটেনি। তাই কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে সম্মতি ছাড়া এভাবে আটক রাখা যায় না। তিন মহিলার বিরুদ্ধে মামলা চালানো হচ্ছে না। এর কারণ স্বরূপ বলা হয়, অনৈতিক পাচার রোধ আইনে যৌন পেশায় যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়ার বিধান নেই। তাই তাঁদের কোনও প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে রাখাও ততোধিক অর্থহীন। এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায় ওই তিন মহিলা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্য, তাছাড়াও ওই তিন মহিলা প্রাপ্তবয়স্ক। তাই হোমে পাঠানোর আগে তাঁদের মত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে সেটাও করা হয়নি। তাই তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!