দেড়জনের জন্য সরকার চলছে’ বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী! জোর জল্পনা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। অতীতে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর যেমন তৃণমূলকে লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করেছিলেন, ঠিক একইভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন সেই শুভেন্দুবাবু। আর এবার সেই একই সুরে রাজ্যের দেড়জনের সরকার চলছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এককালের সৈনিক। সূত্রের খবর, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর দাঁতনের জনসভা থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এতগুলো বছর ধরে সরকারটা চলেছে দেড়জনের ওপর নির্ভর করে। কলকাতায় 3, 4 জনের হাতে দল এবং সমস্ত মন্ত্রীর রাশ। আমি নামমাত্র মন্ত্রী ছিলাম। আসলে ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম।” স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে এখন নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। দেড়জন বলতে তিনি কি বোঝাতে চাইলেন, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। একাংশ বলছেন, আসলে এই দেড়জন বলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝাতে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বহুদিন ধরে তৃনমূল কংগ্রেস করে আসছেন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অসুবিধার মধ্যে পড়েছে, সেখানে মুশকিল আসান হয়ে উঠেছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী। মালদহ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের ঘাঁটিতে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই সেই দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা বিজেপি চেষ্টা করছে তার হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে ভাঙন ধরানোর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে লিমিটেড কোম্পানি বলার পর দেড়জনের সরকার চলছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি এবং বিড়ম্বনা উপায় বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরে বিভ্রান্তিক আরও বাড়িয়ে দিতে চাইলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও মতের কোনো গুরুত্ব নেই। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে তৃণমূলের ভেতরের অন্দরমহলের বিবাদকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করেই জানেন, তৃণমূলের অন্দরমহলের কি পরিস্থিতি! তাই তিনি ভাঙ্গনকে বৃদ্ধি করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তার ভাঁজকে আরও বাড়িয়ে দিতে উদ্যত হলেন। যার ফলে এখন শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তিকে কতটা দীর্ঘায়িত করে এবং এর ফলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -