এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ধর্না নাটকে লাভ নেই মমতার! জেলযাত্রা নিশ্চিত, তৃণমূলকে সজোরে ধাক্কা শুভেন্দুর!

ধর্না নাটকে লাভ নেই মমতার! জেলযাত্রা নিশ্চিত, তৃণমূলকে সজোরে ধাক্কা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারীর ওপর প্রচন্ড রাগ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ এতদিন তার চুরি কেউ ধরতে পারেনি। তবে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই যে পরিমাণ চুরি এই রাজ্যে হয়েছে, যে দুর্নীতি হয়েছে, তাকে ধরে ফেলেছেন। বারবার আদালতে গিয়েছেন‌। আদালত থেকে সবুজ সংকেত নিয়ে এসেছেন যে, এই সরকারের চুরি আটকাতে হবে, তদন্ত করতে হবে। তাই একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় দুর্নীতির জন্য কেন্দ্র যখন টাকা বন্ধ রেখেছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল এই জ্বালা যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছেন না। উল্টে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বাংলা বঞ্চিত হচ্ছে বলে আবার রেড রোডে ধর্না শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভাবছেন, এসব করে আসল সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে।

কিন্তু না। শুভেন্দু অধিকারী স্ট্যান্ড পয়েন্ট ঠিক সেই জায়গাতেই আছে, যেটা তিনি প্রথম থেকে বলেছিলেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই ধর্না আন্দোলন করুন না কেন, যতই সেখান থেকে চেঁচামেচি করুন না কেন, দিনের শেষে একটা জিনিস আবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, যতদিন না এই দুর্নীতি যারা করেছে তারা জেলে যাবে, ততদিন এই রাজ্যের সরকারকে টাকা দেবে না কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে এটা মনে করা হচ্ছে যে, হিসাব না দিলে এবং চোরেরা ধরা না পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে সারাটা জীবন এভাবেই রেড রোডে পড়ে থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল যখন রেড রোডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না করছেন, তখন তাদের উপর কি চাপ পড়ছে না! এই প্রশ্ন এদিন শুভেন্দুবাবুকে সাংবাদিকরা করেছিলেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আবার একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এসব নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা খুশি তাই করতে পারেন। কিন্তু তাদের লক্ষ্য একটাই যে, আগে সাধারণ মানুষের টাকা যারা চুরি করেছে, তাদেরকে জেলে পাঠাতে হবে। তা না হলে কেন্দ্রীয় সরকার অন্তত এই রাজ্যকে টাকা দেবে না। এতদিন তৃণমূল অনেক চালাকি করেছিল।

বিরোধী দলনেতা যারা ছিলেন, তারা সেটিং করেছিলেন বলেই তৃণমূল এতদিন চুরি করার সাহস পেয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল বিন্দুমাত্র সুযোগ পাচ্ছে না। তাই তারা আবার কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা চাইছে, যাতে সেই টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকানো যায়। কিন্তু এখানেও শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সমস্ত চালাকি আটকে দিয়েছেন বলেই এত রাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এসবে যে কিছু যায় আসে না, তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য যে গরিব মানুষদের পাশে থাকা এবং তাদের টাকা যাতে তৃণমূল চুরি করতে না পারে, তার জন্যই যে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করেছে, তা আবার স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বিজেপির দাবি, নাটক করতে খুব বেশি ভালোবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এতদিন এভাবেই নাটক করে মানুষের ভোট আদায় করেছেন। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সর্বনাশ রাজ্যের মানুষের সঙ্গে করেছেন, তা সকলেই ধরে ফেলেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আবার নিজেদের পকেটে ঢোকানোর ষড়যন্ত্র করছেন তারা। কিন্তু এসবে লাভের লাভ কিছু হবে না। ধর্না করে আর যাই হোক, মানুষের দৃষ্টি ঘোরানো যাবে না‌। মানুষ চুরির বিপক্ষে তাদের রায় দেবে এবং যতদিন না এই তৃণমূলের হয়ে চুরি করা নেতারা জেলে যাচ্ছেন, ততদিন কেন্দ্র টাকা দেবে না। তাতে যা খুশি তাই করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এত সহজে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যকে চুরি করার সুযোগ আর দেবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, লাগাতার ধর্না আন্দোলন করে রেড রোডের মতো জায়গাকে আটকে রেখে তিনি নিজের দাবির স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলবেন। কিন্তু সাধারন মানুষ সবটাই বুঝতে পারছেন। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন চুরি, সব জায়গায় তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়েছে। তাই এরা যে একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে এবং আবাস যোজনায় কেন্দ্র যে টাকা পাঠিয়েছে, সেখানেও কারচুপি করেছে, সেটা স্পষ্ট। তা না হলে কেন্দ্র এতদিন তো রাজ্যকে ঠিকমতই টাকা দিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে বন্ধ করে দিল কেন? তাহলে বুঝতে হবে যে, রাজ্যের নিশ্চয়ই কোনো দোষ রয়েছে।

আর যদি তাদের দোষ নাই থাকবে, যদি তারা ঠিকই থাকবে, তাহলে তারা কেন কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী হিসেব সামনে আনছে না! আসলে মুখ দেখানোর মত ক্ষমতা নেই বলেই ধর্না আন্দোলন করে বিষয়টির গতিপ্রকৃতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই যত তিনি এসব করবেন, ততই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে এই রাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই চোরেরা জেলে না গেলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আর টাকা পাবে না এই রাজ্যের শাসক দল। তাতে ধর্না কেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দেয়, তবুও কেন্দ্রের কিছু যায় আসে না। বরঞ্চ এসব কিছু হলে রাজ্যের মানুষ পরিত্রাণ পাবে। চোরেদের হাত থেকে রক্ষা পাবে রাজ্য। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!