এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভয়ঙ্কর অবস্থা সন্দেশখালীর! শাহজাহান বিতর্কের মাঝেই বড় তথ্য ফাঁস! শুভেন্দুর বক্তব্যে উত্তাল রাজ্য!

ভয়ঙ্কর অবস্থা সন্দেশখালীর! শাহজাহান বিতর্কের মাঝেই বড় তথ্য ফাঁস! শুভেন্দুর বক্তব্যে উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে কি ভয়ংকর পরিস্থিতি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যটার করে দিয়েছেন, তা একটু চোখ দিলেই বোঝা যাবে। যেমন, সন্দেশখালি। আজকে সেখানে যারা গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ, যারা রাষ্ট্রবাদী মানুষ, তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। সেখানে শেষ কথা বলবেন শেখ শাহজাহানের মত অভিযুক্তরা। যারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেয় এবং তাদের গায়ে হাত তোলার ক্ষেত্রে প্ররোচনা দেয়, তিনি নাকি এলাকার বাঘ বলে পরিচিত! অথচ সেই ঘটনা ঘটার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!

বিরোধীদের দাবি যে, পুলিশ এই শাহাজাহানকে লুকিয়ে রেখেছে। কারণ সে তৃণমূলের সম্পদ। তবে শাহজাহান না থাকলে কি হবে! তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকলে কি হবে! আড়ালে থেকে তিনি এই এলাকাকে এখনও পর্যন্ত উত্তপ্ত করে রেখেছেন। এখনও যে সেখানেই নিজের চ্যালা চামুন্ডাদের দিয়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছেন, তার এক ভয়ংকর তথ্য সামনে চলে এলো। শেখ শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এদিন সেই সন্দেশখালীর আরও এক নেতা সম্পর্কে যে ভয়ংকর তথ্য সামনে আনলেন, তা শুনে অনেকেই চমকে উঠবেন।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শেখ শাহজাহানের এখনও পর্যন্ত গায়েব হয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি আবার স্পষ্ট করে দেন যে, এই শেখ শাহাজাহানকে আশ্রয় দিচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশ। শুধু তাই নয়, রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় যারা উৎসবে মেতে ছিলেন, সন্দেশখালির যে সমস্ত রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ এই রাম মন্দির উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সকলকে হেনস্থা করার জন্য ২০০ লোককে দিয়ে গ্রাম ঘিরে তাদের শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করছেন সন্দেশখালীর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। এমনকি তার নাম করেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, কি পরিমান সন্ত্রস্ত এলাকা হয়ে রয়েছে এই সন্দেশখালি। যেখানে সাধারণ মানুষ নিজের ধর্ম এবং উৎসব পালনের ক্ষেত্রেও আনন্দ করতে পারেন না। আজকে সব জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা শুধুমাত্র ভোটব্যাংক ধরে রাখার জন্য মানুষের স্বাধীন কাজে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের প্রতি মুহূর্তে হুমকি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।

বিজেপির দাবি, রাজ্যের প্রত্যেকটি এলাকায় নিজেদের দুষ্কৃতিদের তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাদের সাহায্যে তারা প্রত্যেকটি নির্বাচনে জিতেছে। কিন্তু এখন তাদের খেলা শেষ হয়ে এসেছে। শেখ শাহজাহান আড়ালে থেকেও এখন সন্দেশখালি এলাকাকে নিজের হাতে রাখতে মানুষকে অন্যান্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। তাই অবিলম্বে এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের জেলের ভেতরে ঢুকানো উচিত। অবশ্য যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তাতে সামিল না হয়ে সংহতি মিছিল করেন, সেই রাজ্যের শাসকদলের নেতা কর্মীদের কাছ থেকে এমন হুমকি, হুঁশিয়ারি শোনা যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তাই রাজ্যের সংহতি যারা নষ্ট করছে, সেই তৃণমূলের ওপর তলা থেকে নীচতলা, সকলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের এক ভয়ংকর সর্বনাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস‌। সন্দেশখালি এলাকায় অনেকেই ভেবেছিলেন, শেখ শাহজাহান গায়েব হয়ে রয়েছেন। সুতরাং এই এলাকা ধীরে ধীরে দুষ্কৃতীদের থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু না, এখনও পর্যন্ত এখানে কেউ কেউ রয়েছেন, যারা এতটাই ঔদ্ধত্য নিয়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন। রাম মন্দির উদ্বোধনে কারা কারা মেতে উঠেছিলেন, কারা কারা আনন্দ উদযাপন করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে এখন আবার একটা সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছেন তৃণমূলের নেতারা।

তাই অবিলম্বে এই সমস্ত এলাকায় নজর দেওয়া উচিত পুলিশ প্রশাসনের। যদিও বা যে পুলিশ এত বড় অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানের মত ব্যক্তিকে নিজেদের আশ্রয় রাখে, সেই পুলিশের কাছ থেকে সুশাসন আশা করাই বৃথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সন্দেশখালীর মত এলাকা কি পরিমান সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে, সেটা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল। বোঝাই যাচ্ছে, কিভাবে দুষ্কৃতীদের দিয়ে রাজ্য পরিচালনা করছে এই ফ্যাসিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!