এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দোতলা বাড়ি হাঁকাচ্ছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা? শুরু তীব্র রাজনৈতিক তরজা!

ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দোতলা বাড়ি হাঁকাচ্ছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা? শুরু তীব্র রাজনৈতিক তরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের নানা দুর্নীতি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে নিজেদের ভাবমূর্তি প্রমাণ করবার জন্য সেই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে দলকে। এবার ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হলে উলুবেড়িয়ায়।

জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় স্ত্রী এবং ছেলের নাম ঢুকিয়ে তৃণমূল পরিচালিত উলুবেড়িয়া 2 পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মিহির মাইতি ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেন নিজের ছেলে এবং স্ত্রীর নামে ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা তুললেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলকে চেপে ধরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যতই কড়া পদক্ষেপ না হোক না কেন, বিজেপি যে কোনো মতেই শাসক দলকে ছেড়ে কথা বলবে না, তা কার্যত প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া 2 ব্লকের বিজেপি নেতা শংকর চক্রবর্তী বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মিহিরবাবু একই বাড়িতে গিয়ে ছেলে এবং স্ত্রীর নামে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় যে বাড়িটির ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন, সেটি ওনার বাড়ি নয়। সেখানে উনি ব্যবসা করেন। তাছাড়া সেই বাড়িটার কোনো ক্ষতি হয়নি।” তাহলে বিজেপির তরফ থেকে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা কি সত্যি কেন? ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার স্ত্রী এবং ছেলেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মিহিরবাবু বলেন, “আমাদের দুটি বাড়ি। একটি ছেলের নামে, অপরটি স্ত্রীর নামে। দুটি বাড়িরই ক্ষতি হয়েছিল। সেই কারণে তারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।” তবে গোটা ঘটনায় শাসকদল যে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত উলুবেড়িয়া 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ ইলিয়াস বলেন, “আমপান ঝড়ের পরে তাড়াহুড়ো করে একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাতে কিছু ভুল নাম চলে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা দলের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করি, তাদের থেকে টাকা ফেরত নেওয়া হবে। তার জন্য প্রস্তুতি চলছে।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এইরকম দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় শাসক দল কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!