এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার পঞ্চাশোর্ধদের চাকরি কি যেতে চলেছে ব্যাপকহারে? পথ দেখাচ্ছে কেন্দ্র সরকারই? বাড়ছে জল্পনা

এবার পঞ্চাশোর্ধদের চাকরি কি যেতে চলেছে ব্যাপকহারে? পথ দেখাচ্ছে কেন্দ্র সরকারই? বাড়ছে জল্পনা


করোনা ভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই লকডাউন চলছে গোটা ভারতবর্ষজুড়ে। তবে দীর্ঘদিন দেশজুড়ে লকডাউন চলার কারণে সেই লকডাউন সেরে ওঠার পর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তার ব্যাপারে চিন্তা রয়েছে সকলেরই। অনেক বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এখন কাজ ছাঁটাই হওয়ার আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার করোনায় বেসরকারি সংস্থা নয়, কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করল লোকসভার সচিবালয়।

সূত্রের খবর, লোকসভা সচিবালয়ের কোনো ব্যক্তির কর্মজীবনের 30 বছর পার হয়ে গেলে, অথবা কোন ব্যক্তি 50 থেকে 55 বছর বয়স হলেই তাকে ছাঁটাই করা হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, এই কমিটি লোকসভা সচিবালয়ের বিভিন্ন কর্মীদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী রিপোর্ট জমা করবে। আর তার ভিত্তিতেই সেই কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, ডিরেক্টর, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর, যুগ্মসচিব, ওয়েলফেয়ার অফিসার, ড্রাইভার সহ লোকসভা সচিবালয়ে প্রায় তিন হাজার কর্মী কর্মরত রয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট তৈরীর আশঙ্কা করছেন সকলে, ঠিক তখনই সমস্ত দিক দেখে নিয়ে প্রবীণ এবং কাজে অতটা উপযুক্ত নয়, এই সমস্ত কর্মীদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে হাতে কিছুদিন চাকরি থাকা মানুষেরা এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে চাকরি চলে যাওয়ায় কিভাবে তাদের জীবন যাপন করবেন? অনেকে আবার বলছেন, এখনও পর্যন্ত লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের বয়স উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি সেই পদ সামলে যাচ্ছেন। ফলে তাকে না সরিয়ে অন্যান্যদের ব্যাপারে এই নিয়ম আনা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?

তবে যদি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ঘটানো হয়, তাহলে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে লকডাউনের পরবর্তী মুহূর্তকাল কর্মী ছাঁটাই যে বড় সমস্যার কারণ হতে চলেছে দেশবাসীর কাছে, তাতেই সীলমোহর পড়বে বলে মনে করছেন সকলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে প্রত্যেকের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!