এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একে করোনায় রক্ষে নেই! এবার ঘুম ওড়াতে চলেছে এই রোগ? চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের

একে করোনায় রক্ষে নেই! এবার ঘুম ওড়াতে চলেছে এই রোগ? চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের


কথায় আছে গোদের উপর যেন বিষফোঁড়া। ঠিক এমনটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। একদিকে করোনা সামলাতে যখন হিমশিম অবস্থা সকলের, ঠিক তখনই ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা গেল বাঁকুড়া জেলায়‌। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বাঁকুড়া পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকায় প্রায় 200 জনের বেশি মানুষ এই ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে 20 জনকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বস্তুত, ডায়েরিয়া রোগের উপসর্গ হল বমি এবং মাথাব্যথা। সেদিক থেকে করোনা রোগের উপসর্গ জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি। যখন করোনায় সকলে চিন্তিত, ঠিক তখনই এই রামপুর এলাকায় বিভিন্ন মানুষের বমি এবং মাথাব্যথা শুরু হয়। আর এর ফলেই অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যে, তাহলে এলাকায় বুঝি করোনা ভাইরাস বাসা বেধেছে। তবে পরবর্তীতে দেখা যায় যে, ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই রোগ বাসা বাঁধল এলাকায়?

জানা গেছে, এই রামপুর এলাকায় প্রতি বছর বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে একটি পুজোর আয়োজন করা হয়। আর সেই পুজোর পর এলাকার বাসিন্দাদের এবার ছোলা সহ পাঁচ রকমের সেদ্ধ কলাই বিতরণ করা হয়েছিল। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও ঠাকুরের আশীর্বাদ নিতে সকলেই সেখানে পৌঁছে যান। অনেকেই প্রসাদ খেয়ে নেন। আর এতে কোনো জীবানু থাকায় এখন গোটা গ্রামে ডায়েরিয়া শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা রুমা কর্মকার বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে ওই প্রসাদ খাওয়ার পর শুক্রবার বিকেল থেকে দুই একজনের পায়খানা বমি শুরু হয়। রাতের দিকে তা বাড়তে থাকে। এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অসুস্থ হতে শুরু করে। এর ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে আমরা কাউন্সিলার তথা বিধায়ককে জানাই। তার পরেই তিনি ও পৌরসভার চেয়ারম্যান এলাকায় আসেন। কিছুক্ষণ পরেই স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম এসে হাজির হয়।”

এদিকে এই ব্যাপারে গ্রামের আরেক বাসিন্দা তারা মালাকার বলেন, “প্রতিবছরই আমরা ওই দিন সিদ্ধ কলাই ও মুড়ি খাই। কিন্তু এবার যে কি হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না। যারাই ওই কলাই খেয়েছে, তাদের প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।” আর করোনা মহামারীর মধ্যে এভাবে ডায়েরিয়ার প্রকোপ গ্রামে বাসা বাঁধায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সর্বত্র।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে 10 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক শম্পা দরিপা বলেন, “চিরাচরিত রীতি মেনে বৈশাখ মাসের সংক্রান্তিতে এলাকার মানুষ পুজোর পর কলাই খেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, ওই খাবার থেকেই কোনোভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টির ওপর সতর্কভাবে নজর রাখছি।” সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার বাঁকুড়া জেলায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ শুরু হওয়ায় প্রবল আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!