আস্থা নেই সরকার বা দিদিকে বলোতে? হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার পদক্ষেপ ঘিরে তীব্র জল্পনা কলকাতা রাজ্য October 21, 2019 লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় জনসংযোগে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে অনুধাবন করে একাধিক জনসংযোগ মূলক কর্মসূচি নিতে দেখা যায় তৃনমূল কংগ্রেসকে। “দিদিকে বলো” প্রকল্প করে যেমন তৃণমূলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে তাদের অভাব, অভিযোগ শুনতে চাইছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজে, ঠিক তেমনই গ্রিভান্স সেলের মাধ্যমেও মানুষের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে সেই জণসংযোগ কর্মসূচি করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের তরফে জনসংযোগের কর্মসূচি হিসেবে এরূপ একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হলেও তাতে কি সন্তুষ্ট নন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা দেবাশিস কুমার? এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। জানা গেছে, কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের ওয়ার্ডে “মানুষের বক্তব্য, দেবাদার কর্তব্য” নামে এক নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন। যেখানে নিজের 25 নম্বর ওয়ার্ডে যে 30 টি বুথ রয়েছে, তার সবকটিতেই একটি অভিযোগ বাক্স বসিয়ে সেখানকার সমস্ত পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন খামে ভরা ফ্রম। আর সেই ফর্ম পূরণ করে সেই অভিযোগ বাক্সের মধ্যে তা ফেলতে বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সূত্রের খবর, এদিন নিজের ওয়ার্ডের একটি প্রেক্ষাগৃহে এলাকার বাসিন্দাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা করেন 85 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। কিন্তু যেখানে তৃণমূল দল থেকে সারা রাজ্যব্যাপী “দিদিকে বলো” গ্রিভান্স সেল এবং কলকাতা পৌরসভায় খোদ মেয়রকে ফোন করে সাধারণ মানুষ তাদের অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন, সেখানে পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই দাপুটে কাউন্সিলরের এরুপ জনসংযোগ কর্মসূচী কেন! তাহলে কি দলীয় এহেন কর্মসূচির প্রতি তার ভরসা নেই! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কলকাতা পৌরসভার যে 50 ওয়ার্ডে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম এই দেবাশিস কুমারের 85 নম্বর ওয়ার্ড। তাই এখন দলকে কিছুটা দূরে রেখে আগামী পৌরসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে “মানুষের বক্তব্য, দেবাদার কর্তব্য” বলে একটি জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা করার চেষ্টা করলেন তিনি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কি কারণে তাঁকে এই কর্মসূচি করতে হচ্ছে! এদিন এই প্রসঙ্গে দেবাশিস কুমার বলেন, “দিদিকে বলো কর্মসূচি অনেক বড়, আমি যেটা করছি সেটা একেবারেই অন্য দিক থেকে করছি। এটা শুধু পুরো পরিষেবার বিষয়। মানুষের অভিযোগ এবং চাহিদার কথা জানার জন্য এটা করেছি।” কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ যে, দিদিকে বলো প্রকল্পের নম্বরে ফোন করে বা মেয়রকে ফোন করে অসুবিধা জানানোর কথা বললেও সেখানে নাকি ঠিকমত ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই কি তার এই বিকল্প প্রকল্প! এদিন এই প্রসঙ্গে দেবাশিষ কুমার বলেন, “আমরা আমাদের সাধ্যমত কাজ করেছি। কিন্তু মানুষ এসব নিয়ে কি ভাবছেন, কি কি হয়নি বলে মনে করছেন, সেগুলো বুঝতে পারব। আর সেগুলিই করার চেষ্টা করছি।” তবে দেবাশিসবাবু যাই বলুন না কেন, তার মত হেভিওয়েট নেতা, যিনি দল থেকে বেরিয়ে এসেও জিততে পারেন, সেই 85 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস কুমারের দলের প্রকল্পের সামিল না হয়ে নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওয়ার্ডের পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প করায় তার এই উদ্যোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা সৃষ্টি হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল আপনার মতামত জানান -