এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মন্ত্রীরা এত ব্যস্ত যে প্রশাসনিক প্রধানকে জবাব দেওয়ার সময় পর্যন্ত নেই! বিস্ফোরক শিক্ষামন্ত্রী

মন্ত্রীরা এত ব্যস্ত যে প্রশাসনিক প্রধানকে জবাব দেওয়ার সময় পর্যন্ত নেই! বিস্ফোরক শিক্ষামন্ত্রী

ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনের প্রধান ব্যক্তির পদে জগদীপ ধনকার শপথ নেওয়ার পর থেকেই নবান্নের সঙ্গে রাজভবন দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যপালের শিলিগুড়ি যাত্রা হোক কিংবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার, জিয়াগঞ্জের ঘটনা হোক কিংবা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল কোনো মন্তব্য করলেই তার বিরুদ্ধে পাল্টা মন্তব্য করতে দেখা যেত রাজ্যের শাসক দলের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের শাসক দলের অভিজ্ঞ এবং প্রবীণ মন্ত্রীদের মুখ থেকে রাজ্যপাল বিরোধী এই ধরনের মন্তব্য সোনায় কিছুটা হলেও আশাহতও হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সম্প্রতি রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনকে নিয়ে সেই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

যেখানে তিনি বলেন, “আমি 50 বছর ধরে বিধায়ক। এর আগে শুনিনি কখনও কোনো রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। উনি তো নিজেই সাংবিধানিক প্রধান। উনি চাইলে এখানে সব রকম নিরাপত্তা পেতে পারেন। কিন্তু কেন যে দিল্লিতে গিয়ে ওভারটেক করে এটা করলেন, তা উনিই বলতে পারবেন।”

আর এরপরই শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের একের পর এক রাজ্যপাল বিরোধী মন্তব্যে হতাশ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জগদীপ ধনকার। তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তা নিয়ে না জেনেই মন্তব্য করা হয়েছে।”

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “উনি রাজ্য সরকারের একজন অভিজ্ঞ মন্ত্রী। সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সময় উনি মন্ত্রী ছিলেন। ওনাকে বলব, আপনি সরকারের কাছে থাকা রেকর্ড যাচাই করে দেখুন। আমার বক্তব্য খুব স্পষ্ট‌।। আমার কাছে সমস্ত রেকর্ড রয়েছে। রাজভবনের তরফেও এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীদের মন্তব্য আরও সংযত হওয়া উচিত বলেও জানান রাজ্যপাল। তবে এরপর রাজ্যের সাংবিধানিক হিসেবে রাজ্যপালের এহেন সতর্কবার্তাকে কাজে লাগিয়ে হয়ত বা সেইভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করবে না রাজ্যের শাসক দলের হেভিওয়েট মন্ত্রিরাও বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল।

কিন্তু তা সত্যি হল না। ফের তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রাজ্যপাল- বিরোধী মন্তব্য প্রবল জল্পনা বাড়িয়ে দিল রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, এদিন দক্ষিণ 24 পরগনার জীবনতলার বিধায়কদের ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা দেখতে এসে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপালের সব কথার উত্তর দেওয়ার সময় রাজ্যের মন্ত্রীদের নেই। এই রাজ্যের মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক। তারা সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই রাজ্যপালের সব কথার উত্তর দেওয়ার মত সময় তাদের নেই।”

অর্থাৎ রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন যে, তারা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে তাদের গর্জন থামাবেন না। কিন্তু এই ভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত যে রাজ্যের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মানচিত্রে ব্যাপক আঘাত আনতে পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!