পার্টির লোকেরা আর পিকে মিলে মমতাকে বাড়িতে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন? ‘ফাঁস’ করলেন দিলীপ কলকাতা রাজ্য May 19, 2020 করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে জেরবার গোটা দেশ তথা রাজ্য। এরই মধ্যে রাজ্যে ক্রমে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর সম্প্রতি রাজ্যের লকডাউন শিথিল করার বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দুঁষেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানা গেছে এদিন দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যেশ্যে বলেন লকডাউন থাকা সত্ত্বেও বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাস্তায় নেমে পরিদর্শন করা মুখ্যমন্ত্রীর কাজ নয়। প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত এই কাজ। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন না মেনে রাস্তায় নামছেন, সূত্রের খবর মারফত জানা গেছে এদিন এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। জানা গেছে এদিন তিনি আরও বলেন পার্টির লোক এবং পিকে কেউই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরে রাখতে পারে নি। কারণ বাড়িতে থাকার অভ্যাস মুখ্যমন্ত্রীর নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর এদিন দিলীপ ঘোষ লকডাউনের প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বলেন লকডাউনের অর্থ সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা সেখানে সব কিছুই খুলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ কিছু এলাকা ও দোকান পাট – এর বদলে যদি সব কিছুই খুলে দেওয়া হয় তবে বাংলা করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে এদিন দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্পষ্ট জানান, যদি হকার্স মার্কেট খোলা হয় তবে ওই ছোট জায়গায় বহু ক্রেতা ভিড় করবে কার্যত ফল ভোগ করতে হতে পারে রাজ্যবাসীকে। এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, এমনিই বাংলার মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে অসহায়। এমন আবহে বার বার জোন ভাগ করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রাথমিক ভাবে তিনটি জোন ছিল। ফের আরও তিনটি জোন ভাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে কমিটি গঠনের বিষয়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ এমনটাই সূত্র মারফত খবর। জানা গেছে এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত হালকা একটি বিষয় হিসাবে দেখছেন যা পরবর্তী ক্ষেত্রে বাংলার মানুষের জন্য খারাপ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। আপনার মতামত জানান -