এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লির প্রস্ততি নিয়ে চরম ব্যাস্ত তৃনমূল, তার মাঝেই এলো চরম দুঃসংবাদ ! দিকভ্রষ্ট কর্মীরা!

দিল্লির প্রস্ততি নিয়ে চরম ব্যাস্ত তৃনমূল, তার মাঝেই এলো চরম দুঃসংবাদ ! দিকভ্রষ্ট কর্মীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে। কথা ছিল, যে সমস্ত কর্মীরা জেলা থেকে এসেছেন, তাদের সকলকে 30 তারিখে বিশেষ ট্রেন করে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা করে দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই দিল্লি যাত্রার জন্য যখন কর্মীরা কলকাতায় চলে এসেছেন, ঠিক তখনই সেই ট্রেন দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে দিল্লি যাত্রা কার্যত বিশবাও জলে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। পাশাপাশি এত কর্মীকে একত্রিত করে রেখে তৃণমূলকেও রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের দূর-দূরান্ত জেলাগুলি থেকে আজ থেকেই কর্মীরা কলকাতায় এসে একত্রিত হচ্ছেন। মূলত একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের এই দিল্লি সফর। আগেভাগেই তৃণমূল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি বিশেষ ট্রেনের আবেদন করেছিল। সেই মত সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু একদম শেষ পর্যায়ে এসে সেই ট্রেন বাতিল করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ।

রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা এই পরিস্থিতিতে কোনোমতেই বাড়তি কোচ দিতে পারবে না। অর্থাৎ রেল কিন্তু কোনোরকম প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করেনি। তাদের কাছে যাত্রী পরিষেবা আগে। কিন্তু যে সমস্ত যাত্রীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করবেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে, তাদের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের এই কর্মসূচি নয়। তাই রেল কর্তৃপক্ষ গঠনগত কারণ দেখিয়ে তৃণমূলের এই বিশেষ ট্রেনের আবেদন বাতিল করেছে বলেই মনে করছে সমালোচক মহল।

অনেকে বলছেন, এত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে এসে দিল্লি যাত্রা করে তৃণমূল কার্যত বিপ্লব করার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তাদের সেই বিপ্লব ভেঙে চুরে চুরমার হয়ে গেল। এবার এত কর্মীদের দূর দূরান্ত থেকে নিয়ে এসে তাদের কাছে কি জবাব দেবে তৃণমূল কংগ্রেস! তাদের কিভাবে দিল্লি নিয়ে যাবে? বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই তৃণমূল তাদের কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে কলকাতায় আসতে বাধ্য করেছে। যার ফলে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছেড়ে সংসার ছেড়ে কলকাতায় এসে জড়ো হয়েছেন দিল্লি যাওয়ার জন্য। কিন্তু তৃণমূল কেমন দল, যারা রেলের পক্ষ থেকে কোনো নিশ্চয়তা না পেয়েই কর্মীদেরকে আগেভাগেই দিল্লিযাত্রার কথা জানিয়ে দিল? তাহলে এত কর্মীরা এবার যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজ ছেড়ে কলকাতায় এলেন এবং তারপর যদি শেষমেষ তারা দিল্লিতে যেতে না পারেন, তাহলে তাদের এই সময়ের দাম কি দিতে পারবে রাজ্যের শাসক দল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর ফলে আর কিছু হোক বা না হোক, তৃণমূল নেতৃত্বের থোতা মুখ ভোতা হয়ে গেল। দিল্লি যাত্রা নিয়ে যারা এত প্রচার করছিল, যাদের মুখ থেকে অনেক বড় বড় কথা শোনা যাচ্ছিল, তাদের বেলুন কার্যত ফুঁস হয়ে গেল। যার ফলে ঘরে বাইরে চাপে পড়তে হবে ঘাসফুল শিবিরকে। ট্রেন বাতিল করার যে চরম দুঃসংবাদ তৃণমূল নেতৃত্বকে শুনতে হলো, তার ফলে আদৌ তাদের দিল্লি যাত্রা হবে তো! সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!