এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > একাধিক প্রভাবশালী পুলিশকর্তার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধ কাজ! পিছনে কি ভোটের রাজনীতি?

একাধিক প্রভাবশালী পুলিশকর্তার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধ কাজ! পিছনে কি ভোটের রাজনীতি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমান যুগে যোগাযোগের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুক আপনার কাছে নানাভাবে এনে দেয় বিভিন্ন পরিচিত অপরিচিত মানুষের সন্ধান। তবে প্রতি জিনিসেরই যেমন একটা ভালো দিক আছে তেমনই একটি খারাপ দিকও থাকে। আর এক্ষেত্রে ফেসবুকের মাধ্যমে যেমন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা যেকোনো মানুষকে এক মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যায়, তেমনি এই দুনিয়াকে কেন্দ্র করে অপরাধও কম হয়না। সম্প্রতি ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে পুলিশকর্তাদের নামে খারাপ কথা রটানোর চেষ্টা করেছেন করা হচ্ছে বলেই জানা গেছে।

এই বিষয়ে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পরেছেন, শুধুমাত্র নিজেদেরকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েই নয়, সেই সঙ্গে তোলাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতারণার খবরও যে রটানো হয়েছে, তার খবর পাওয়া গেছে। তবে আজ নতুন নয় জানা গেছে এর আগেও রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, শিলিগুড়ির কমিশনারেটের এসপি, উত্তর দিনাজপুরের ডিএসপি এই অপরাধের শিকার হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে সম্প্রতি চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার এবং মালদহ জেলার পুলিশ সুপার সম্পর্কে এই ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে অপরাধ করার তথ্য জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সামনে আসছে ২১এর ভোট। আর তাই এভাবেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে কালিমা লেপনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেই মনে করেছেন অনেকে। তবে এই বিষয়ে তদন্তকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যাপারটা মোটেই সহজ ভাবে নেবেন না তারা। তদন্ত চালিয়ে যাদেরকে দোষী হিসেবে পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নেওয়া হবে বলেই জানা গেছে। তবে এক্ষেত্রে কিভাবে অপরাধ করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, এই সমস্ত পুলিশকর্তাদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নষ্ট, ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা চাওয়ার মতো অপরাধ মূলক কাজ করছেন পুলিশ কর্তারা, সেই কথাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছিল একাউন্ট সৃষ্টিকারীরা।

তবে কিভাবে সেই কাজ করা হল? এক্ষেত্রে জানা গেছে, প্রথমে জাল নথি প্রয়োগ করে এরা ভুয়ো সিম কার্ড জোগাড় করে। পরবর্তীকালে সেই নথি দিয়ে খোলা হয় ব্যাংক একাউন্ট। এরপর এরা সাধারণত ইন্টারনেট প্রোফাইল থেকে ছবি বাছাই করে এমন কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রথমে ইন্টারনেট বা আনলক প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড লিস্ট কপি করে নতুন নতুন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকে তারা। সেখানে সাধারণত একাউন্টে নিজেদেরকে আর্থিকভাবে খারাপ প্রতিপন্ন করে তারা। তবে কিভাবে এদেরকে ধরা যাবে, সেই প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা জানান, এই সমস্ত ভুয়া অ্যাকাউন্টের আইপি অ্যাড্রেস থেকেই এদেরকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীকালে সামনে আসে বিহার, উড়িষ্যা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের মত কিছু রাজ্যের নাম। তবে আপাতত তদন্ত চালানো হচ্ছে বলেই আপাতত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!