এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > দীপাবলিতে কাজ হারালেন রাজ্যের আরও ৪ হাজার শ্রমিক! শিল্পাঞ্চলে নামল আঁধার!

দীপাবলিতে কাজ হারালেন রাজ্যের আরও ৪ হাজার শ্রমিক! শিল্পাঞ্চলে নামল আঁধার!


যখন দীপাবলীর আলোয় চারিদিক ভেসে যাচ্ছে, মানুষের মন আনন্দে উন্মাদনায় ভরে উঠছে, ঠিক সেইসময়ে অমাবস্যার অন্ধকারে কিছু মানুষের জীবন ভরে গেল। কর্মহীন হলে বোধ হয় মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। এই দীপাবলীতে আঁধার নেমে এল এই রাজ্যের আরও একটি জুটমিলের ওপর। বন্ধ হয়ে গেল সেটি। প্রায় চার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়লেন‌। দীপাবলির আলোকশিখা তাদেরকে ছুঁতে পারল না‌। শিল্পাঞ্চলের আঁধারে ডুবে গেল এতগুলি পরিবার।

রবিবার সকালে জগদ্দলের জে জে আই জুট মিলে পড়ল তালা। প্রায় চার হাজার শ্রমিক একযোগে কর্মহীন হয়ে পড়লেন। দীপাবলীর আলো-অন্ধকারে পরিণত হল।এই জুটমিলটিতে সম্প্রতি পিএফ ও গ্র‍্যাচুইটি না দেওয়ার প্রতিবাদে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের একাংশ প্রতিবাদে নামে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শনিবার কাজ বন্ধ রাখেন তাঁরা।

কিন্তু পরের দিন রবিবার কাজে যোগ দিতে এসে তাঁরা মিলের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলতে দেখেন। কার্যত মাথায় বাজ পড়ে তাঁদের। এক নোটিশেই একসাথে চার হাজার শ্রমিক হয়ে গেলেন কর্মহীন।মিল বন্ধ হওয়াতে দুই পক্ষই তাদের যুক্তি দেখিয়েছে। একদিকে যেমন মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, শনিবার অধিকাংশ শ্রমিক হাজির না হওয়ায় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তার জন্য মিল বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শ্রমিকরা বলে, দিনের পর দিন কাজের চাপ বাড়তে থাকা সত্বেও কর্মীদের চাকরিতে স্থায়িত্বকাল ছিল না। উপরন্তু তাদের পিএফ এবং গ্রাচুইটিও দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। তবে মিল কর্তৃপক্ষ বলেছে, স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু শ্রমিকরা তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। কারণ বহু অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন এই নোটিশ সামনের কর্মনাশা দিনের সূত্রপাত। তাই নিশ্চিত রূপে কাজ হারাতেই হচ্ছে।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এর মধ্যে জগদ্দলের জেজেআই জুট মিলটি অবস্থিত। খুব ভালো না হলেও নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এই জুটমিল চলছিলো এতদিন। কিন্তু এদিন কাজ বন্ধ হওয়ার শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে বরাবরের মতন তালা পড়ল জুটমিলটিতে।

তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী কাজের সন্ধান দেবার জন্য নানান প্রকল্প গ্রহণ করছেন বেকার যুবক যুবতীদের জন্য, সেখানে এক ধাক্কায় 4 হাজার শ্রমিকদের কর্মহীন হয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি কি ব্যবস্থা নেবেন তা জানতে ইচ্ছুক সবাই। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দেশে যেখানে অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলছে, সেখানে একসাথে 4000 শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ায় শিল্পের দিকে যেমন বাধা আসবে, সেরকমই অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল আশা রাখছে, মিল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পুনরায় বদল করবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!