এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিয়মের তোয়াক্কা না করে লকডাউনের মাঝেই জনসমাগম করে বিতর্কে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক!

নিয়মের তোয়াক্কা না করে লকডাউনের মাঝেই জনসমাগম করে বিতর্কে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক!

লকডাউনের সময় শাসকদলের বিধায়ক হয়ে সরকারি নির্দেশিকাকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে এবার ত্রান বিলি করে রীতিমত বিপাকে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান। না, ত্রাণ বিলি করাটা মোটেই অন্যায়ের কিছু নয়।‌ অপরাধের বিষয় হল, জনসমাগম করা। কেননা করোনা ভাইরাসকে আটকাতে সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করার জন্যই লকডাউনের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ফলে সেদিক থেকে বারবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিতে আসা সাধারণ মানুষরাও যদি বাইরে বেরোচ্ছেন, তাহলেও তাদের বলা হচ্ছে, আপনারা দূরত্ব অবলম্বন করুন। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিধায়ককে কোনোরূপ দূরত্ব অবলম্বন না করেই জনসমাগম করে ত্রান বিলি করতে দেখা গেল।

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই চাপড়ার চারাতলা গ্রামের এক বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পরে। কেউ যাতে সেই গ্রামে ঢুকতে না পারে, তার জন্য চারিদিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। লাগানো হয় সিসিটিভি। কিন্তু সরকারের সমস্ত নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে বুধবার দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সেই গ্রামে উপস্থিত হন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান। গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিত্যনৈমিত্তিক জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করেন তিনি। আর বিধায়কের এই উদ্যোগকে সকলে প্রশংসা জানালেও, যেভাবে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের আরও বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠলেন তিনি, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।

একাংশের মতে, যখন বিজেপি নেতা কর্মীদের কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে গ্রামে ঘেরাটোপ থাকলেও কেন সেই গ্রামে ঢুকে ত্রাণ বিলি করার সাহস দেখালেন তৃণমূল বিধায়ক? কেন প্রশাসন তৃণমূল বিধায়ককে বাধা দিল না! এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মিডিয়া কনভেনার সন্দীপ মজুমদার বলেন, “এমন তো নয় যে করোনা ভাইরাস তৃণমূলের নেতা বিধায়কদের এড়িয়ে চলে। এটা আসলে সংকীর্ণ রাজনীতির ফল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে এই ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “ওই গ্রামের মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করার কথা প্রশাসনের বা সরকারের। এর থেকে প্রমাণ হয়ে গেল যে, সরকার তথা প্রশাসন সেটা করতে ব্যর্থ।” কিন্তু যেখানে বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিরা ঢুকতে পারছেন না, সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক ঢুকলেন কি করে! এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিডিও অমিমেষ কান্তি মান্না বলেন, “ওই গ্রামে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে। কোনো অভাব নেই। তবে বিধায়ক মানুষের পাশে দাঁড়াতেই পারেন।” কেন তিনি এভাবে নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে গেলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, “করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে জেনেই গ্রামে গিয়েছিলাম। তাও বেশি ভিতরে ঢুকিনি। এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে জিনিসপত্র রেখে এসেছিলাম। লোকের ভিড়ে যাইনি। মানুষের পাশে থাকতে গিয়েছিলাম।” কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক যে কথাই বলুন না কেন, তিনি যেহেতু সরকারি নির্দেশ অমান্য করেছেন, তাই তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। সকলের একটাই দাবি, তাহলে কি তৃণমূলের ক্ষেত্রে নিয়ম এক, আর বিরোধীদের ক্ষেত্রে নিয়ম আর এক! উত্তরের অপেক্ষায় বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!